এশিয়া কাপে সুপার ফোরের ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে আজ মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচে টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ইনফর্ম ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্ত হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে ছিটকে যাওয়ায় বাংলাদেশের একাদশে একটি পরিবর্তন অবধারিতই ছিল।
পাকিস্তানের বিপক্ষে শান্তর পরিবর্তে দলে ফিরেছেন লিটন দাস। এদিন বাংলাদেশকে ভালো শুরু পেতে দেননি পাকিস্তানের বোলাররা। শাহীন শাহ আফ্রিদি নিজের প্রথম ওভারটি মেইডেন নেন। এরপর অন্যপ্রান্ত দিয়ে বোলিং আক্রমণে আসেন নাসিম শাহ।
এই পেসারের করা ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই স্কয়ার লেগে ফখর জামানকে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো গোল্ডেন ডাক করলেন মিরাজ। এরপর শুরুর বিপর্যয় সামাল দিয়েছেন লিটন দাস ও নাইম শেখ। অবশ্য এই দুজনের জুটি বেশিদূর এগোতে দেননি শাহীন আফ্রিদি। তার করা শর্ট লেন্থের বাড়তি বাউন্স পাওয়া বল থার্ড ম্যান অঞ্চল দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন লিটন। তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৬ রান।
এরপর বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি নাইম শেখ। ভালো শুরু পেলেও তিনি ইনিংস বড় করতে পারেননি। হারিস রউফের ওপর চড়াও হতে গিয়ে বাংলাদেশের এই ওপেনার টপ এজ হয়েছেন ব্যক্তিগত ২০ রানে। ফলে ৪৫ রানের মধ্যে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ।
এই ম্যাচেও ব্যর্থ হয়েছেন আগের ম্যাচে শূন্য রানে আউট হওয়া তাওহীদ হৃদয়। এই টাইগার ব্যাটার হারিসের লেংথ বলে ফ্লিক করতে গিয়ে বোল্ড হয়েছেন ব্যক্তিগত ২ রানে। এরপর বাংলাদেশের হাল ধরেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। দুজনই স্ট্রাইক রোটেড করে খেলার সঙ্গে বাউন্ডারি মেরে রানের চাকা সচল রেখেছেন। দুজনের জুটি এরই মধ্যে পঞ্চাশ ছাড়িয়েছে। মুশফিককে নিয়ে ৫৩ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন সাকিব। হাফ সেঞ্চুরির পর অবশ্য বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি সাকিব। ফাহিম আশরাফের বলে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ফখরকে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। আর তাতে শেষ হয়েছে মুশফিকের সঙ্গে তার ১২০ বলে ১০০ রানের জুটি।