কেভিন সিনক্লেয়ারকে সঙ্গে নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের লিড বাড়িয়ে চলছিলেন জশুয়া ডি সিলভা। তাদের দুজনের জমে উঠা জুটি ভাঙার সঙ্গে আকিম জর্ডান, অ্যান্ডারসন ফিলিপ ও ম্যাকঅ্যালিস্টারকে দাঁড়াতেই দেননি তানজিম হাসান সাকিব। ১০৮ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাটিংয়ে নেমে দিন শেষে ৬ উইকেটে ২৭৪ রান তুলেছে বাংলাদেশ। তিন হাফ সেঞ্চুরিতে ১৬৬ রানে এগিয়ে থেকে শেষদিন ব্যাটিংয়ে নামবেন স্বাগতিক ব্যাটাররা।
আগের দিনের ৬ উইকেটে ২৬৮ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশের পেসারদের বেশ ভালোভাবেই সামাল দিচ্ছিলেন ডি সিলভা এবং সিনক্লেয়ার। টিকে থাকার সঙ্গে দলের পুঁজি বাড়াচ্ছিলেন তারা দুজন। অবশেষে সিনক্লেয়ার ও ডি সিলভার জুটি ভাঙেন তানজিম সাকিব। ডানহাতি এই পেসারের ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে বলের লাইন মিস করেন সিনক্লেয়ার। ফলে ৬৩ বলে ৩২ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরে যেতে হয় তাকে। নিজের পরের ওভারে জর্ডানকে ফেরান ডানহাতি এই পেসার। সাকিবের অফ স্টাম্পের অনেকটা বাইরের বলে ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন জর্ডান। তবে আউট সাইড এজ হয়ে দ্বিতীয় স্লিপে থাকা নাইম শেখকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যেতে হয় তাকে।
অ্যান্ডারসনকেও থিতু হতে দেননি সাকিব। আগের বলেই ডানহাতি এই পেসারকে মিড উইকেট দিয়ে চার মেরেছিলেন তিনি। পরের বলেও একই জায়গায় খেলতে চেয়েছিলেন অ্যান্ডারসন। তবে ব্যাটে-বলে করতে না পেরে বোল্ড হতে হয় ৪ রান করা এই ব্যাটার। এরপর ম্যাকঅ্যালিস্টারকে তানভিরের হাতে ক্যাচ বানিয়ে টানা ৪ ওভারে ৪ উইকেট তুলে নেন সাকিব। তাতে ৩৪৫ রানে গুটিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
সফরকারীদের চেয়ে ১০৮ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরুর আভাস দিয়েছিলেন জাকির হাসান ও সাদমান ইসলাম। তবে ব্যাট হাতে আবারও ব্যর্থ হয়েছেন জাকির। রেইমন রেইফারের অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারিতে ড্রাইভ করতে গিয়ে উইকেটকিপারের গ্লাভসে ক্যাচ দিয়েছেন ১৩ রান করা এই ওপেনার। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনে নামা সাইফ হাসানও। জর্ডানের গুড লেংথ ডেলিভারিতে গালিতে থাকা সিনক্লেয়ারকে ক্যাচ দেন তিনি। ফলে ১৬ রানে ফিরতে হয় সাইফকে। এরপর অবশ্য নাইমকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন সাদমান। তাদের দুজনের জুটি ভাঙেন সিনক্লেয়ার। ডানহাতি এই স্পিনারের বলে বোল্ড হতে হয় ২৮ রান করা নাইম।
বাঁহাতি এই ব্যাটার ফেরার পর ৯৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন সাদমান। এদিকে এদিন শুরু থেকেই খানিকটা আক্রমণাত্বক মেজাজে ব্যাটিং করছিলেন শাহাদাত হোসেন দিপু। ৭৩ রান করা সাদমানকে ফিরিয়ে দিপুর সঙ্গে ৬৮ রানের জুটি ভাঙেন জর্ডান। এদিকে প্রথম ইনিংসে ৩৭ রান করা আফিফ হোসেন ধ্রুব এবার আউট হয়েছেন ৪ রানে।
এদিকে ৬৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি করা দিপুকে বিদায় করেছেন সিনক্লেয়ার। নাঈম হাসানকে সঙ্গে নিয়ে শেষ বিকেলটা শেষ করেছেন ইরফান শুক্কুর। দিনশেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২৭৪ রান। ৭০ বলে হাফ সেঞ্চুরি করা শুক্কুর ৬৪ এবং নাঈম অপরাজিত ১৪ রানে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সিনক্লেয়ার তিনটি এবং জর্ডান দুটি উইকেট নিয়েছেন।