সময়টা সাকিব আল হাসানের পক্ষে নেই অনেক দিন ধরেই। নিজেই একসময় বলেছিলেন, জাতীয় দলে ড্রাইভিং সিটে যখন থাকবেন না, তখনই সরে যাবেন লাল-সবুজের দল থেকে। কানপুরে টেস্ট শুরুর আগেরদিন কোচ বা অধিনায়কের পরিবর্তে সাংবাদিকদের সামনে এলেন দলের সিনিয়র ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান।
আর সেখান থেকেই বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) তিনি অবসরের ঘোষণা দিলেন টেস্ট ও আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে। ওই প্রেস কনফারেন্সে এও জানালেন, অক্টোবরে খেলতে চান দেশের মাটিতে। দেশের সমর্থকদের সামনে। তবে সেজন্য চান নিরাপত্তা।
৫ই আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে বিদায় নেয়া আওয়ামী লীগ সরকারের সংসদ সদস্য ছিলেন সাকিব। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময়ে তার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন আছে। পটপরিবর্তনের পর মাথার ওপর আছে হত্যা মামলার দায়। এ অবস্থায় সাকিবের দেশে আসায় নিরাপত্তা শঙ্কা রয়েছে।
দেশের মাঠে বিদায়ী টেস্টের পাশাপাশি দেশ ছাড়ার সময়েও নিরাপত্তা চেয়েছেন সাকিব, ‘‘আমি যেন গিয়ে খেলতে পারি এবং নিরাপদ অনুভব করি। যখন দেশের বাইরে আসার দরকার হবে, দেশের বাইরে আসতেও যেন আমার কোন সমস্যা না হয়। বোর্ড খেয়াল করছে। বিষয়গুলোর সঙ্গে যারা জড়িত তারা দেখছেন। তারা হয়তো আমাকে একটা সিদ্ধান্ত দেবে, যেটার ভিত্তিতে আমি দেশে গিয়ে খুব ভালোভাবে খেলে অন্তত টেস্ট ফরম্যাটটা ছাড়তে পারব।’
ঘণ্টাখানেক পরেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি ফারুক আহমেদ এলেন সংবাদ সম্মেলনে। বিকেল ৪টায় নির্ধারিত বোর্ড সভা শেষে কথা বললেন সাকিবের অবসর আর নিরাপত্তা নিয়ে। সেখানেই জানালেন, এমন কিছু ক্রিকেট বোর্ডের হাতে নেই, ‘আমি তো আসলে কোনো এজেন্সি না। এটা বিসিবির হাতে না। সরকারের কাছ থেকে আসতে হবে নিরাপত্তা। দুই ধরনের নিরাপত্তা আছে। একটা মামলার ও আরেকটা হচ্ছে সমর্থকদের। ’
তার সঙ্গে কী কথা হয়েছে জানতে চাইলে ফারুক বলেন, ‘সাকিব কঠিন সময় পার করছে জীবনে। খুব বেশি কিছু না বলি। টেস্ট সে খেলতে চেয়েছিল। ঢাকা থেকে অবসর নিতে চায়, আমি সম্মান জানিয়েছি।’
সাকিবের নিরাপত্তার ব্যাপারটি সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে আসতে হবে বলেই মনে করেন ফারুক, ‘নিরাপত্তার বিষয়টি সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে আসতে হবে। বিসিবি কোনো এজেন্সি না, পুলিশ না, র্যাব না। সরকারের তরফ থেকে নিরাপত্তার ব্যাপারটি আসতে হবে।’