কেপটাউনের উইকেটে সিম মুভমেন্টের সঙ্গে অসম বাউন্সে নাভিঃশ্বাস উঠেছে ব্যাটারদের। প্রথম দিনের মতো উইকেট-বৃষ্টি ছিল এদিনও। আগের দিনের ৩ উইকেটে ৬৩ রান নিয়ে শুরু করা প্রোটিয়ারা থেমেছে ১৭৬ রানে। যেখানে একাই ১০৬ রানের ইনিংস খেলেছেন মার্করাম। সাউথ আফ্রিকাকে গুঁড়িয়ে দেয়া জসপ্রিত বুমরাহ ৬১ রানে নিয়েছেন ৬ উইকেট। জিততে হলে ভারতকে করতে হবে ৭৯ রান।
দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় বলেই বুমরাহর শর্ট লেংথ ডেলিভারিতে পুল করেছিলেন ডেভিড বেডিংহাম। এজ হয়ে স্লিপ কর্ডন দিয়ে বের হয়ে শেষ পর্যন্ত সীমানা ছুঁয়ে দেয়। সেবার বেচে গেলেও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। ওই ওভারের শেষ বলে বুমরাহর অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারিতে ড্রাইভ করতে গিয়ে এজ হয়ে উইকেটের পেছনে থাকা লোকেশ রাহুলকে ক্যাচ দিয়েছেন ১১ রান করা বেডিংহাম।
বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি কাইল ভেরেইনেও। বুমরাহর শর্ট লেংথ ডেলিভারিতে পুল করেছিলেন সাউথ আফ্রিকার এই উইকেটকিপার ব্যাটার। টপ এজ হয়ে মিড অনে থাকা মোহাম্মদ সিরাজকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি। বাকিরা আসা-যাওয়ার মিছিলে থাকলেও দারুণ ব্যাটিংয়ে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন মার্করাম। ডানহাতি এই ব্যাটার হাফ সেঞ্চুরি পাওয়ার পরের ওভারে আউট হয়েছেন মার্কো জানসেন।
বুমরাহর বলে স্ট্রেইট ড্রাইভ করেছিলেন তিনি। তবে ফলো থ্রুতে বুমরাহ দারুণ ক্যাচ লুফে নিলে ফিরতে হয় জানসেনকে। প্রোটিয়াদের চেপে ধরা বুমরাহ পাঁচ উইকেট পূর্ণ করেছেন কেশভ মহারাজকে ফিরিয়ে। এরপর দ্রুত রান তুলতে থাকেন মার্করাম। মাত্র কয়েক ওভারের মাঝে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে সেঞ্চুরি পূরণ করেছেন তিনি। সেঞ্চুরি পাওয়ার পর অবশ্য বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি।
সিরাজের অফ স্টাম্পের বাইরের লেংথ ডেলিভারিতে লং অফের উপর দিয়ে উড়িয়ে মারতে চেয়েছিলেন মার্করাম। তবে ব্যাটে-বলে ঠিকঠাক না হওয়ায় লং অফে থাকা রোহিতের হাতে ধরা পড়তে হয় ১০৬ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলা মার্করামকে। এরপর বাকিরা দ্রুত ফিরলে ১৭৬ রানে অল আউট হয় সাউথ আফ্রিকা। ভারতের হয়ে বুমরাহ ৬টি এবং মুকেশ চৌধুরি নিয়েছেন দুটি উইকেট।