জামালপুরে সাংবাদিক নাদিম হত্যার ঘটনায় বকশীগঞ্জ উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে আওয়ামী লীগ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৬ জুন) রাতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহিনা বেগম ও সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন তালুকদার বাবুল স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
এতে বলা হয়, ১৪ জুন বুধবার রাত ১০টায় বকশীগঞ্জ পৌর শহরের পাটহাটি মোড় এলাকায় বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমের জামালপুর জেলা প্রতিনিধি এবং ৭১ টেলিভিশনের সংবাদদাতা গোলাম রব্বানী নাদিমের ওপর একদল দুষ্কৃতকারী অতর্কিত হামলা করে। হামলায় তিনি গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তারপর অত্যন্ত মুমূর্ষু অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় গত বৃহস্পতিবার দুপুর ২.৪৫ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। (ইন্না লিল্লাি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
বহিষ্কারাদেশে আরও বলা হয়, ওই ন্যক্কারজনক ঘটনায় প্রশাসন ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে আপনার সংশ্লিষ্টতা জোরালোভাবে উল্লেখিত হওয়ায় দলীয় ভাবমূর্তি প্রচণ্ডভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে। ইতোপূর্বে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে আপনার অসাংগঠনিক কার্যক্রম এবং অসদাচরণ প্রকাশ পাওয়ায় আপনাকে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, সাধুরপাড়া ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো এবং সংগঠন থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হলো। দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে আপনাকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না এই মর্মে পত্র প্রাপ্তির ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে বকশীগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকের বরাবর জবাব দাখিলের নির্দেশ প্রদান করেন।
এদিকে সাংবাদিক নাদিম হত্যার ঘটনার পর থেকে চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু ও তার ছেলে পলাতক রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, জানা গেছে বুধবার (১৪ জুন) রাত সাড়ে ১০টার দিকে বকশীগঞ্জ পৌরসভার পাটহাটি এলাকায় হামলার শিকার হন গোলাম রব্বানী নাদিম। সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুর নেতৃত্বে ১০-১২ জন তার ওপর মামলা করে। পরে স্থানীয় এক সাংবাদিকসহ কয়েকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। রাত দেড়টার দিকে জামালপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য মমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়।