যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করতে চায়, এ কারনেই নানা পরামর্শ দিয়ে থাকেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। আজ শুক্রবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে চ্যারিটি বাজারের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক বক্তব্যের বিষয়ে তিনি বলেন, এই সরকারের আমলে ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কের নানা অগ্রগতি হয়েছে। আগামীতে এই সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হওয়ার আশাবাদ জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমনন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, শুধু বাংলাদেশে নয়, যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন দেশেই মানবাধিকার পরিস্থিতি ও নানা ইস্যুতে পরামর্শ দিয়ে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি বাংলাদেশ নিয়ে তারা মত দিচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রবাসী সাংবাদিক ও কিছু বাঙালি নাগরিক ষড়যন্ত্রে নেমেছে। তারাই জোর করে যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে বাধ্য করছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, আমরা বরাবরই সকল পরামশর্ বিবেচনা করে থাকি। যেসকল বিষয় গ্রহণযোগ্য তা আমরা আমলে নেই।
আসন্ন নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কখনো সংলাপে পিছপা হয় না। পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসার ইচ্ছাও নেই তাদের। একইসাথে বিএনপিকে এসকল আচরণ থেকে বিরত থেকে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে সহিংসতার বিষয়টি উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সেদিন বিএনপির উদ্দেশ্যই ছিল জ্বালাও পোড়াও। তারা হাসপাতালেও আক্রমণ করেছে। সাধারণ মানুষের জন-মাল নষ্ট করছে।
নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকাকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কাউকে বাধাগ্রস্ত করতে দেবো না। আর এই নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর হওয়ার ক্ষেত্রে কোনো বন্ধু রাষ্ট্র যদি সহায়কের ভূমিকা পালন করে, তাহলে আমরা তাকে স্বাগত জানাবো।’