সবুজ কারখানার স্বীকৃতি সনদ পেল অনন্ত গার্মেন্টস অ্যান্ড স্পোর্টসওয়ার লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সদস্য। সাভারের আশুলিয়ায় অবস্থিত কারখানাটি ৮৯পয়েন্ট পেয়ে প্লাটিনাম সনদ পেয়েছে।
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিজিএমইএ পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল। এ নিয়ে নতুন বছরে পাঁচ প্রতিষ্ঠান এলইইডি সনদ পেল।
এখন পর্যন্ত মোট ১৮৮টি কারখানা গ্রিন ফ্যাক্টরির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ‘লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন (এলইইডি)’ সনদ পেয়েছ।
এর আগে চলতি বছরের গত ২২ জানুয়ারি আমানত শাহ ফেব্রিকস গোল্ড সনদ অর্জন করে। আর জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে প্লাটিনাম সনদ পায় জেকেএল ও জেএল ফ্যাশন। আর ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে সবুজ কারখানা সনদ পায় কেডিএস আইডিআর লিমিটেড।
দেশে ইউএসজিবির সনদ পাওয়া সবুজ কারখানার মধ্যে রয়েছে প্লাটিনাম ৬৪টি, গোল্ড ১১০টি, সিলভার ১০টি ও সার্টিফাইড চারটি। এতে সর্বমোট গ্রিন ফ্যাক্টরি বা সবুজ কারখানার সংখ্যা দাঁড়াল ১৮৮টিতে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান ‘ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল’ এ সনদ দেয়। সংস্থাটি বাণিজ্যিক ভবন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বাড়িসহ অন্যান্য স্থাপনার ক্ষেত্রেও এ সনদ দেয়।
শিল্প কারখানার ভবন নির্মাণ থেকে পণ্য উৎপাদন পর্যন্ত সব পর্যায়ে পরিবেশ সুরক্ষার বিষয়টি ভালোভাবে বিশ্লেষণ করে সর্বোচ্চ মানের কারখানাকে এ সনদ দেওয়া হয়।
তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি বিজিএমইএ পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, সবুজ কারখানা সনদ পেলে বিশ্ববাজারে ক্রেতার কাছে আলাদা কদর তৈরি হয়। এ কারখানায় উৎপাদিত পণ্যের গায়ে গ্রিন ট্যাগ সংযুক্ত থাকে। অর্থাৎ এ পণ্যটি কোনো সবুজ কারখানায় উৎপাদিত। এ পণ্যটি বিদেশি ব্র্যান্ড ও ক্রেতার কাছে আস্থা বাড়ে। সবুজ কারখানায় উৎপাদিত পণ্য নিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে দর কষাকষিতেও এগিয়ে থাকা যায়। মূল কথা সনদ দেশ ও পোশাক খাতের ব্র্যান্ড ইমেজ বাড়াতে সহায়তা করে।