সচিবালয়সহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে ছাত্রদের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। আজ রোববার (১৩ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে ‘আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে বিএনপির ভূমিকা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ প্রশ্ন তোলেন তিনি।
গয়েশ্বর বলেন, ‘সরকার বদলে গেছে, তুমি-আমি একই আছি, যা ছিলাম আগে। শুধু শেখ হাসিনাই নেই, বাকি সব আগের মতোই আছে।’
তিনি বলেন, ‘ছাত্রদের আন্দোলন জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন। তবে বর্তমান সরকার ছাত্রদের মাথার মুকুট হিসেবে দেখছে, তাদের আলাদা চোখে দেখা হচ্ছে। কেন সচিবালয়সহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে ছাত্ররা যাবে? আন্দোলনকে সম্মান করি, তবে আমরা যারা রাজনীতি করি, আমাদের অসম্মান করবেন, ঘৃণা করবেন, এটা ঠিক না।’
বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘ছাত্রদের যৌক্তিক কোটা সংস্কার আন্দোলনে আমরা নৈতিক সমর্থন জানিয়েছি। ছাত্রদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে আমরা মাঠে নেমেছি বলেই বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ছাত্রদের প্রতিটি আন্দোলনে রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি মাঠে ছিল।’
এসময় অবিলম্বে নির্বাচন দেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে গয়েশ্বর বলেন, ‘১৫ বছরের একটাই দাবি, একটি সুষ্ঠু নির্বাচন। যেখানে আপনারা এখনো নির্বাচন কমিশন পরিবর্তন করতে পারেননি, সেখানে মানুষ কীভাবে বিশ্বাস করবে, আপনারা নির্বাচন করবেন? আপনাদের আবার কমিশন গঠন করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন যত দ্রুত হবে, জনগণের অংশগ্রহণ হবে বাঁধভাঙা জোয়ারের মতো। এই মুহূর্তে যদি নির্বাচন হয় তাহলে বাংলাদেশে অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করে ৯০ শতাংশ মানুষ ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হবে।’
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, ‘বর্তমান সরকার ব্যর্থ হলে ১৬ বছরের আন্দোলন ব্যর্থ হবে। আমরা দেখতে চাই আপনারা সফল হোন। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। জনগণের মনে প্রশ্ন নির্বাচন কবে হবে। আমরা আশা করি জনগণকে সম্পৃক্ত করে আপনারা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করবেন। সেজন্য একটা টার্গেট ফিক্সড করতে হবে।’
জাতীয়তাবাদী প্রচার দল আয়োজিত উক্ত আলোচনায় প্রচার দলের সভাপতি মাহফুজ কবির মুক্তার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আকবর হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দলটির সহ-সভাপতি মো. রুহুল আমিন। এতে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।