ক্রিকট্র্যাকারের কথিত ‘শীর্ষ ধনী’ ক্রিকেটারের তালিকার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সবচেয়ে বেশি আলোচনা চলছে মাশরাফি বিন মুর্তজা নিয়ে। ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন পোস্টে দাবি করা হয়েছে মাত্র চার বছরের ব্যবধানে ৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা থেকে ৫১০ কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন মাশরাফি।
এমনটি দাবি করা খবরটি ভারত ভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকট্র্যাকার নিজেরাই কিছুক্ষন পর সরিয়ে ফেলে। টপ টেন রিচেস্ট বাংলাদেশ ক্রিকেটার্স’ শিরোনামের প্রতিবেদনটি ২৩ অক্টোবর প্রকাশ করেছিল ক্রিকট্র্যাকার। অনুমাননির্ভর তথ্য ও কিছু অখ্যাত ওয়েবসাইটকে উদ্ধৃত করে এই তালিকা সাজিয়েছিলেন নিবন্ধের লেখক তেজস রাঠি। মাশরাফির সম্পদের তথ্য দেয়ার ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হয়নি নির্দিষ্ট কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা চার্টাড অ্যাকাউন্ট্যান্টের কোনো বক্তব্য বা তথ্য।
অনুমান নির্ভর মানহানিকর এই খবর বাংলাদেশেরও কিছু মিডিয়া অতিরঞ্জিত করে প্রকাশ করার পর ভারাক্রান্ত হৃদয়েই যেন সংবাদকর্মীদের উদ্দেশ্যে গতকাল তার ফেইসবুক ভেরিফাইড পেজে পোস্ট করেন।
'ক্যারিয়ারের শুরু থেকে অসংখ্য সাংবাদকর্মীদের সঙ্গে মিশেছি, তাদেরকে কাছ থেকে দেখেছি। এমন অনেক সাংবাদিক আছেন, ক্রিকেট তাদের কাছে শুধু পেশাই নয়, আরও বেশি কিছু। অনেক সীমাবদ্ধতা, ক্যারিয়ার নিয়ে অনেক অনিশ্চয়তা মধ্যেও অনেকেই অনেক কষ্ট করে কাজ করে যান ক্রিকেট খেলাকে ভালোবেসে, দেশের ক্রিকেটকে ভালোবেসে। তাদের প্রতি আমার সম্মান ও শ্রদ্ধা সবসময়ই ছিল, আছে ও থাকবে।
আমাকে নিয়ে প্রকাশিত খবরটির জন্য এখানে দুঃখপ্রকাশ করা হয়েছে, অবশ্যই তাদেরকে সাধুবাদ জানাই। তবে সব মিডিয়ারই বোঝা উচিত, আমাদের পরিবার আছে, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব আছে, সামাজিক মর্যাদা ও আত্মমর্যাদা আছে। স্পর্শকাতর কোনো খবর প্রকাশের আগে তাই যতটা সম্ভব নিশ্চিত হওয়া উচিত।
আর আমার বিরোধী মতের যে ভাইরা মনে করছেন, এসব উড়ো খবরকে পুঁজি করে আমার সম্মানহানি করবেন, তাদেরকে বলব, আপনারা কেবল সময় নষ্টই করছেন। রাজনীতির এই বিশাল জগতে মাশরাফি তুচ্ছ ও নগন্য একজন। আমার দল এত ঐতিহ্যবাহী এবং এতটা বড়, সেখানে আমি খুবই ক্ষুদ্র ও সামান্য একজন। আমার মতো একজনের পিছু লেগে থেকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখা মানে আকাশ-কুসুম কল্পনা। আমি আমার পথেই থাকব। আপনারা নিজেদের পথটা খুঁজতে থাকুন!'