যুদ্ধের মধ্যে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আসা মিয়ানমার সেনাদের দ্রুত ফেরত পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এ কথা বলেন তিনি।
এর আগে ভোরে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তিন সদস্য ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করার খবর পাওয়ার কথা জানান বান্দরবানের জেলা প্রশাসক।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে তিনজন সেনাবাহিনী কর্মকর্তা পালিয়ে এসেছেন। তারা আমাদের বিজিবির হেফাজতে আছে। বিজেপির ১৭৯ জন যারা পালিয়ে আসছে, তাদের নৌপথে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য মিয়ানমার ইতোমধ্যে প্রস্তাব করেছে। আমরা আশা করি খুব সহসাই এই তিনজনসহ তাদের নৌপথে ফেরত পাঠাতে পারব।’
নিউইয়র্কে বাংলাদেশি তরুণকে হত্যা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘নিউ ইয়র্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল নিহত বাংলাদেশি যুবক উইন রোজারিওর বাসায় গিয়ে পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন। পরিবারের সঙ্গে কথা বলে প্রতীয়মান হয় যে, পুলিশের গুলি করার প্রয়োজন ছিল না। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছি এবং এর তদন্ত হচ্ছে। তদন্তে পুলিশের ওভার-রিঅ্যাকশন বা দোষ প্রমাণিত হলে কর্তৃপক্ষ অবশ্যই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবেন বলে আমরা আশা করি।’
সোমালি জলদস্যুদের জিম্মিদশা থেকে নাবিক ও জাহাজ শিগগিরই মুক্ত করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘সোমালিয়ার জলদস্যুদের সঙ্গে ইতোমধ্যে যোগাযোগ হয়েছে, তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে। আমাদের নাবিকরা সবাই ভালো আছে, তারা কেবিনে আছে। তাদের খাবার-দাবারের কোনো সমস্যা নেই। নাবিকদের সঙ্গে কোনো খারাপ আচরণ এ পর্যন্ত করা হয় নাই।’
গত ১২ মার্চ মোজাম্বিক থেকে আরব আমিরাতের একটি বন্দরে কয়লা নিয়ে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগরের কাছে এমভি আবদুল্লাহর নিয়ন্ত্রণ নেয় সোমালি জলদস্যুরা। জিম্মি হওয়া জাহাজের ২৩ নাবিক ও ক্রু সবাই বাংলাদেশি।