হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৬৮টি স্বর্ণের বারসহ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একজন এয়ারক্রাফট মেকানিককে আটক করেছে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। গততাল রোববার রাত ১০টায় বিমানবন্দরের হ্যাঙ্গারের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের বাজারমূল্য ৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
আজ সোমবার (২১ আগস্ট) সকালে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান, এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক।
তিনি জানান, গতকাল নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিমানবন্দরের এপ্রোন সাইডে নজরদারি করছিল এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সাদা পোশাকের গোয়েন্দা দল। সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ বিমানের কুয়ালালামপুর থেকে ছেড়ে আসা ফ্লাইট বিজি ৩৮৩ ঢাকায় অবতরণ করে। সকল কার্যক্রম শেষে বিমানটিকে রাতে হ্যাঙ্গারে রাখা হয়। বিমানের টেকনিশিয়ান, ক্লিনার এবং অন্যান্য স্টাফরা তাদের কাজ শেষ করে একে একে বিমান ত্যাগ করলেও বিমানটির দিকে নজর রাখছিল এপিবিএন। রাত ১০টায় যখন বিমানে আর কেউ ছিল না, তখন খুবই দ্রুততার সাথে বিমানের এয়ারক্রাফট মেকানিক অভিযুক্ত শফিকুল ইসলামকে (৩৩) বোয়িং ৭৭৭ মডেলের ওই উড়োজাহাজে উঠতে দেখা যায়।
তিনি আরও জানান, শফিকুলের চলাচলের ধরন এবং মুভমেন্ট দেখে সন্দেহ হয় এয়ারপোর্ট এপিবিএনের গোয়েন্দা দলের। কিছুক্ষণের মধ্যেই যখন সে নেমে আসে এবং দ্রুততার সাথে স্থান ত্যাগের চেষ্টা করে তখন তাকে আটক করা হয়। আটকের পর তাকে হ্যাঙ্গারের সামনেই বিভিন্ন এজেন্সির উপস্থিতিতে তল্লাশী করা হয়। এসময় তার কাছে ৬৮টি স্বর্ণের বার পাওয়া যায়। এসবের ব্যাপারে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
জিজ্ঞাসাবাদে শফিকুল জানান, তিনি বিমানের ডগ বক্স থেকে এই স্বর্ণের বার সংগ্রহ করেছেন। কিন্তু স্বর্ণের বারের গন্তব্য সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি সুস্পষ্ট কোনো তথ্য না জানিয়ে বিভিন্ন উদ্দেশ্যহীন কথাবার্তা বলতে থাকেন।
আটক শফিকুল ইসলাম ২০১৩ সালে ক্যাজুয়াল স্টাফ হিসেবে বিমানে যোগদান করেন এবং ২০১৭ সালে স্থায়ী হন। তিনি খুলনা জেলার দৌলতপুর থানার বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে নিয়মিত আইনে মামলা দায়েরে প্রস্তুতি চলছে।