প্রায় ১৬ বছর পর অ্যান্টনি লা পুয়েন্তে যখন বাড়িতে ফিরে এসেছিলেন, তখন প্রায় কিছুই অবশিষ্ট ছিল না। হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের মাউই দ্বীপের লাহাইনাতে থাকা তার বাড়ি দাবানলে ধ্বংস হয়ে গেছে।
৪৪ বছর বয়সী এই যুবক বলেন, ‘আমি শুধু এটাই বলতে পারি যে ব্যথা হচ্ছে। এটি আপনাকে আবেগগতভাবে প্রভাবিত করে। আপনি যে জিনিসগুলোর সাথে বড় হয়েছেন বা আপনার মনে রাখা জিনিসগুলি খুঁজে না পাওয়ার অনুভূতিটা খারাপই হবে।’
লা পুয়েন্তে এমন কয়েক ডজন লোকের মধ্যে একজন ছিলেন যাদের শুক্রবার লাহাইনায় ফিরে যেতে দেওয়া হয়েছিল। শত শত বছরের পুরোনো শহরটি এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। প্রতি বছর হাজার হাজার পর্যটক আবহাওয়া পরিবর্তনের জন্য, নৈসর্গিক পোতাশ্রয়ের সামনে ঘুরে বেড়াতে, এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাচীনতম বলে খ্যাত একটি মহিমান্বিত বটগাছের নিচে অলস থাকার জন্য শহরটিতে আসতেন।
শুক্রবার শহরের মধ্য দিয়ে হেঁটে যাওয়া বার্তা সংস্থা এএফপির একটি দল বিড়াল, পাখি এবং অন্যান্য প্রাণির পুড়ে যাওয়া মৃতদেহ দেখতে পায়। দেহগুলো আগুনে আটকা পড়েছিল। সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, শহরটিতে দাবানলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮০-তে পৌঁছেছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন উদ্ধারকারীরা। পুড়ে যাওয়া খুঁটিতে বিদ্যুতের তারগুলি অকেজোভাবে ঝুলেছিল এবং আগুনের ছোট স্ফুলিঙ্গ তখনও জ্বলছিল। রাস্তায় অকেজোভাবে পড়ে আছে পুড়ে যাওয়া যানবাহনগুলোর কঙ্কাল। শহরজুড়ে উষ্ণ ছাইয়ের স্তূপ জমে আছে।
হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণে অবস্থিত বিগ আইল্যান্ড ও মাউইতে গত মঙ্গলবার থেকে দাবানল ভয়াবহ মাত্রায় ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। হাওয়াইয়ের শত মাইল দূর দিয়ে যাওয়া হারিকেন ডোরার প্রভাবের কারণে বাতাসের তীব্রতা বাড়ায় দাবানল পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শহরটির ৮০ শতাংশ অবকাঠামো ‘শেষ হয়ে গেছে।’ শহরটির পুনর্গঠনে কয়েকশ কোটি ডলারের প্রয়োজন হবে। শুধু তা-ই নয়, এটি আগের রূপে ফিরিয়ে আনতে কয়েক বছর লাগবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।