র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব) নিয়ে ডয়েচে ভেলের প্রতিবেদনের অভিযোগ সাবধানতার সাথে খতিয়ে দেখবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারকেও প্রতিবেদনটি খতিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়েছে দেশটি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের উপ-প্রধান মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেছেন, ‘আমরা এই ভিডিওতে থাকা অভিযোগ অত্যন্ত সাবধানতার সাথে খতিয়ে দেখব এবং আমরা আশা করি বাংলাদেশ সরকারও তাই করবে... মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে। ’
শুক্রবার (৭ এপ্রিল) ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের ফেসবুক পেজে বেদান্ত প্যাটেলের বক্তব্য ও ডয়েচে ভেলের ভিডিও প্রতিবেদনটি শেয়ার করা হয়েছে।
র্যাবকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হয়—এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি অনুবিভাগের মহাপরিচালক সোহেলী সাবরীন। তিনি বলেছেন, র্যাবকে নিয়ে জার্মান গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন ভিত্তিহীন।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আরও বলেন, ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনটিতে র্যাবের বিরুদ্ধে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে অভিযোগ তোলা হয়। উচ্চপদস্থ রাজনীতিবিদরা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমন করতে এই এলিট বাহিনীকে ব্যবহার করছেন—এমন অভিযোগও তোলা হয়; যার সবই ভুয়া। এখানকার বেশির ভাগ তথ্যই পুরনো এবং সেকেলে। প্রতিবেদনটি অসঙ্গত এবং অভিযোগগুলো অসত্য।