র্যাব-২ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রমোটেড) উত্তম কুমার বিশ্বাসের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন আদালত। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।
দুদকের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর। এ সময় আদালত তার কাছে জানতে চান, উত্তম কুমার এখনও চাকরিরত কিনা। জবাবে তিনি জানান, তিনি এখনও চাকরিরত। শুনানি শেষে আদালত উত্তম কুমারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ মঞ্জুর করেন।
ফরিদপুরে আলোচিত দুই ভাই সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও ইমতিয়াজ হাসান রুবেলসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে ২ হাজার কোটি টাকার অর্থপাচারের মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন তিনি। উত্তম কুমারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রাথমিক অনুসন্ধানে দুদকের পক্ষে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক রুহুল হক।
আবেদনে বলা হয়, উত্তম কুমার বিশ্বাসের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে, যা বর্তমানে চলমান। ইতোমধ্যে তার ও তার স্ত্রীর নামে সম্পদের বিবরণীর নোটিশ জারি করে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। জানা যায়, উত্তম কুমার সব হিসাব বন্ধ করে দেশত্যাগের পরিকল্পনা করছেন। তিনি বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধান ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এজন্য তার বিদেশগমনে নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজন। অনুসন্ধানে বিভিন্ন ব্যাংক ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া বেশকিছু রেকর্ডপত্র বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, তিনি দুদকের নোটিশ পাওয়ার পরপরই অসংখ্য হিসাব (অ্যাকাউন্ট) থেকে সব টাকা-পয়সা তুলে হিসাব বন্ধ করছেন, যা সন্দেহজনক বলে প্রতীয়মান হয়। তিনি অনুসন্ধানের শুরু থেকে তেমন কোনো ধরনের সহযোগিতা করেননি বরং বিভিন্ন সময় মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে অনুসন্ধান কাজ ব্যাহত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন এবং অহেতুক কালক্ষেপণ করছেন।