পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিকে বোনাস শেয়ারের অনুমোদন রেকর্ড ডেটের আগে নিতে হবে। এবং বোনাস শেয়ার ঘোষণা করার পরিচালনা পর্ষদ সভায় রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করতে বলে জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইস)। এতে আগে বোনাস শেয়ারের জন্য দুটি রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হত, তা এখন থেকে একটি ডেটে হবে। বোনাস শেয়ারের নীতিমালা পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি। এ বিষয়ে গত ৩ অক্টোবর নোটিফিকেশন জারি করে কমিশন, এর গেজেট প্রকাশ হয়েছে ৬ নভেম্বর।
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম এই বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘যদি কোন কোম্পানি বোনাস শেয়ার ঘোষণা করে তাহলে রেকর্ড ডেটের আগে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে বোনাস শেয়ারের অনুমোদন নিয়ে নিতে হবে।’ আগের নিয়ম ছিল বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) লভ্যাংশ অনুমোদনের পর বিএসইসির অনুমোদন নিতে হত। এবং এ ক্ষেত্রে দুটি রেকর্ড ডেট থাকতো। একটি ডেট কোম্পানি বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণার দিন দিত, আরেকটি বিএসইসির অনুমোদনের পর দেয়া হত। এখন একটি রেকর্ড ডেটেই কাজ হবে। পরিচালনা পর্ষদ সভায় বোনাস শেয়ার ঘোষনার দিন কোম্পানি যে রেকর্ড ডেট দিবে, সে ডেটের আগেই কমিশনের অনুমোদনের জন্য আবেদন করবে। এবং কমিশন সে রেকর্ড ডেটের আগে অনুমোদনের কাজ সমাপ্ত করবে।
বিএসইসি চাইছে কোম্পানিগুলো নগদ লভ্যাংশ বেশি দিক। এ কারণে বোনাস শেয়ারের প্রস্তাব যাচাই বাছাই করে এর যৌক্তিকতা বাছাই করে। কিন্তু এই প্রক্রিয়ায় বিনিয়োগকারীরা আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছেন। গত বছর এসএস স্টিল ও মেট্রো স্পিনিং মিলসের বোনাস শেয়ারের প্রস্তাব বিএসইসি বাতিল করে দেয়। কিন্তু তার আগেই রেকর্ড ডেটের পর দর সমন্বয় হয়ে যায়। এরপর বিএসইসির সিদ্ধান্তে আরও ক্ষতির মুখে পড়ে বিনিয়োগকারীরা।
পরে সিদ্ধান্ত হয় দুটি রেকর্ড ডেটের। নগদ লভ্যাংশের বিষয়ে একটি এবং বোনাস শেয়ারের বিষয়ে আরেকটি রেকর্ড ডেট থাকে। কিন্তু গত বছর ৫ শতাংশ নগদের পাশাপাশি ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার ঘোষণা করা ইউনিয়ন ব্যাংকের এই লভ্যাংশ এখনও অনুমোদন করেনি বিএসইসি। ফলে বোনাসের বিষয়ে বিনিয়োগকারীরা এখনও কিছু জানে না, যদিও এজিএমে এই প্রস্তাব পাস হয়ে গেছে।