এপ্রিল ২০, ২০২৪

ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে রুপির মাধ্যমে লেনদেনে বাণিজ্যিক অংশীদারত্বে নতুন মাত্রা যুক্ত হতে পারে।

মঙ্গলবার (০২ মে) উন্নয়ন সমন্বয়ের আয়োজনে এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

রাজধানীর বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে উন্নয়ন সমন্বয় ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে মাল্টিমোডাল সংযোগ- শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রণয় ভার্মা বলেন, দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য বাড়াতে নতুন প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো ও সররাহ চেইন খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।

একইসঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে নতুন নতুন ক্ষেত্রে উদ্ভাবনের চেষ্টাও রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় দুই দেশের মধ্যে রুপির মাধ্যমে লেনদেনে বাণিজ্যিক অংশীদারত্বে নতুন মাত্রা যুক্ত হতে পারে।

প্রণয় ভার্মা বলেন, দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদী কানেকটিভিতে জোর দিয়েছেন। রেল, সড়ক, নৌ, বিমান যোগাযোগ বাড়ালে উভয় দেশই লাভবান হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

ভারতীয় হাইকমিশনার জানান, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্য বেড়েছে। ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানির এক বিলিয়ন ডলার থেকে প্রায় দুই বিলিয়নে উন্নীত হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়াতে কমপ্রিহেনসিভ ইকনোমিক পার্টনারশিপ অ্যাগ্রিমেন্ট (সেপা) করার জন্য কার্যক্রম চলছে বলেও জানান তিনি।

সেমিনারে উন্নয়ন সমন্বয়ের সভাপতি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান মূল নিবন্ধ উপস্থাপন করেন। মূল নিবন্ধে তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বিশেষত, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য প্রত্যাশিত মাত্রায় বৃদ্ধির জন্য স্থল বন্দর, সমুদ্র বন্দর, কনটেইনার টার্মিনাল, ইত্যাদির সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি যোগাযোগ অবকাঠামোর ব্যাপকভিত্তিক ইতিবাচক রূপান্তর দরকার। গত বছর প্রথমবারের মতো নারায়ণগঞ্জে ভারতীয় কার্গো জাহাজ আসতে শুরু করার মতো ইতিবাচক উদ্যোগগুলো দৃশ্যমান হচ্ছে। তবে স্বীকার করতেই হবে এসব উদ্যোগের বাস্তবায়নের গতি বেশ ধীরে ছিল। তবে বিশ্বব্যাংকসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিরাও এ ক্ষেত্রে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে।

সেমিনারে সভাপতিত্বের বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী উভয় দেশের মধ্যে কানেকটিভিটিতে জোর দিয়েছেন। বিশেষ করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশের সঙ্গে থ্রি সির কথা বলেছেন। এই থ্রি সি হলো কমার্স, কালচার ও কানেকটিভিটি।

সেমিনারে প্যানেল আলোচনায় আরো বক্তব্য রাখেন সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান ও প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আহসান খান চৌধুরী।

এছাড়া সরকারি কর্মকর্তা, বিশেষজ্ঞ, ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিসহ অন্যান্য অংশীজনেরা প্যানেল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *