ইউক্রেনে বৃষ্টির মত ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। মঙ্গলবার রাজধানী কিয়েভসহ অন্যান্য বেশ কয়েকটি শহরে এ হামলা শুরু হয়।
বিধ্বংসী ঘটনায় ২ জন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে আরও ৫০ জন। পাশপাশি ইউক্রেনের বহু উঁচুতল ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগুন ছড়িয়ে পড়েছে অসংখ্য স্থানে।
বৈদ্যুতিক লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এমনকি দেশটির রাজধানীতে চার ঘন্টার জন্য বিমান সতকর্তাও জোরদার করা হয়েছিলো।
ইউক্রেনের সেনাবাহিনী বলছে, ৯৯টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে মস্কো। তারমধ্যে ৭২টি ভূপাতিত করেছে কিয়েভ। পাল্টা ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইউক্রেনও। তবে সবগুলোই প্রতিহত করেছে বলে জানিয়েছে রাশিয়া। খবর এএফপির।
এ ঘটনার আগে গত ৩০ ডিসেম্বর রাশিয়ার বেলগোরোডে হামলা চালায় ইউক্রেন। শনিবার সেই হামলায় ৫ জন শিশুসহ ২৫ জন নিহত হয়।
সোমবার (১ জানুয়ারী) ইউক্রেনের সেই নজিরবিহীন হামলাকে ‘সন্ত্রাসী কাজ’ বলে অভিহিত করেছেন পুতিন। সে ভাষণেই ইউক্রেনের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকারবদ্ধ হন তিনি।
ইউক্রেনের ওপর প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের হামলার হুঁশিয়ারির ২৪ ঘন্টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রের কারণে কিয়েভের কয়েকটি জেলায় একটি সুপারমার্কেট ভবন, আবাসিক বাড়ি এবং একটি বাজারে আগুন লেগেছে।
পূর্বাঞ্চলীয় শহর খারকিভে সামরিক প্রশাসনের প্রধান ওলেগ সিনেগুবভ বলেন, ‘কমপক্ষে চারটি হামলায়’ একজন নারী নিহত এবং ৪১ জন আহত হয়েছেন।
ইউক্রেনের জাতীয় ইউক্রেনারগো এনার্জি কোম্পানি বলেছে, ‘রাশিয়ার হামলার পর কিয়েভ এবং এর আশেপাশের অঞ্চলে ২৫০.০০০ গ্রাহক বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় ছিলেন।
এছাড়াও পেচেরস্ক জেলার প্রশাসন জানিয়েছে, ধ্বংসাবশেষ একটি নয় তলা ভবন এবং আরেকটি বহুতল ভবনের ছাদে আঘাত হেনেছে। ঘটনায় প্রায় ২,০০০ বর্গ মিটার পরিমাপের একটি গুদামেও আগুন লাগে।
ইউক্রেনে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ব্রিজেট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে লিখেন, ‘কিয়েভে ২০২৪ সালটি পুতিন ক্ষেপনাস্ত্র হামলা দিয়ে শুরু করেছে যেখানে লাখ লাখ মানুষ ঠান্ডায় জমে যাচ্ছে। পুতিনকে থামাতে আমাদের ইউক্রেনকে এখনই সহায়তা করা উচিত।’