গত ১৫ বছরে গ্রামীণ দরিদ্র নারীদের মাঝে ১৩০ কোটি টাকার ঘূর্ণায়মান ঋণ বিতরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি)।
সোমবার (১০ জুন) সংসদের বাজেট অধিবেশনে বিভিন্ন এনজিও’র ঋণে দায়গ্রস্ত নারীদের উদ্ধার ও পুনর্বাসনে সরকারের পদক্ষেপ ও গৃহীত পদক্ষেপের বাস্তবায়ন অগ্রগতি ও প্রাপ্ত সফলতা জানতে চান ঢাকা-১৯ আসনের সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। জবাবে এ তথ্য জানান মন্ত্রী। এসময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদে সভাপতিত্ব করেন।
সিমিন হোসেন (রিমি) জানান, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় দেশের নারীদের কর্মসংস্থান ও পুনর্বাসন করতে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। নারীদের আত্মকর্মসংস্থানের জন্য ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম এই কর্মসূচির আওতায় জেলা ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের মাধ্যমে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মহিলাদের মধ্যে আয়বর্ধক কর্মসূচি, মৎস্য চাষ, হাঁস-মুরগি পালন, ক্ষুদ্র ব্যবসা গরু-ছাগল মোটাতাজাকরণ ইত্যাদি কাজে ঋণ দেওয়া হয়। কর্মক্ষম স্বামী পরিত্যক্তা ও বিধবা জেলা/উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার বরাবর আবেদন করতে পারেন।
তিনি বলেন, ঋণগ্রহীতাদের কাছ থেকে কোনো সুদ আদায় করা হয় না। তবে ৫ শতাংশ সার্ভিস চার্জ নেওয়া হয়। একজন নারীকে এককভাবে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত এবং দলীয়ভাবে সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হয়।
গত ১৫ বছরের (২০০৯-১০ অর্থবছর থেকে ২০২৩-২৪) সাফল্য প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, অর্থবছরের এপ্রিল পর্যন্ত এ খাতে মোট বরাদ্দ ছিল ২৯ কোটি ৭৮ লাখ ২০ হাজার টাকা। উল্লিখিত বরাদ্দ দ্বারা এ পর্যন্ত এক লাখ ২৪ জন গ্রামীণ দরিদ্র নারীকে ১৩০ কোটি ৬৪ লাখ ৩৪ হাজার টাকা ঘূর্ণায়মান ঋণ দেওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত এসব ঋণ থেকে আদায়ের পরিমাণ ১০৭ কোটি ৩৫ লাখ ৮ হাজার। যা আদায়ের হার ৮২.১৭ শতাংশ।