চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকা। সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় নিউ ইয়র্কের নাসাউ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সবুজ গালিচায় সম্মুখ সমরে অবতীর্ণ হবে দুদল।
তবে এই মাঠটির বিশেষত্ব বা বৈশিষ্ট্য- যাই বলেন না কেন, এখন পর্যন্ত ৮ ইনিংসে ১৪০ স্পর্শ করতে পারেনি কোনো দল। ভারতের মতো শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপও অল আউট হয়ে গেছে ১১৯ রানে, তাও ৬ বল বাকি থাকতেই।
এমন একটা উইকেটে বল হাতে প্রতিপক্ষের জন্য নারকীয় তাণ্ডব চালানো এনরিখ নরকিয়াদের মুখোমুখি হওয়ার চিন্তাটাও ভীতিকর বটে। আর তাদের প্রতিপক্ষ দলটার নাম যদি হয় বাংলাদেশ- তাহলে তো কথাই নেই। কারণ নিকট অতীতে এই দলটির তেমন একটা সুখস্মৃতি নেই।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হওয়ার পরিসংখ্যান হল ৮-০! যার কোনোবারই জয়ের ধারেকাছে যেতে পারেনি বাংলাদেশ। বরং হারের মাত্রা এবং ব্যবধান যেন বেড়েই চলেছে।
তবে এই বাংলাদেশ দলটির জন্য এখানে একটাই আশা, তা হল- দক্ষিণ আফ্রিকা দল বরাবরই বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে আনপ্রেডিক্টেবল। যেমন- নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে টানা দুই বিশ্বকাপে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে ফরম্যাটে হেরেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এই দক্ষিণ আফ্রিকাই আবার ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলেছে। এই দক্ষিণ আফ্রিকাই এবারে ১০৪ রান তাড়া করতে নেমে ৬টি উইকেট খুইয়েছে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।
আর এই জায়গাতেই কিছুটা হলেও আশা দেখতে পারেন বাংলাদেশি ভক্ত-সমর্থকরা।
অন্যদিকে, নিউইয়র্কের এই মাঠে বহুল প্রতীক্ষার ভারত-পাকিস্তান ম্যাচেই তেমন রান হয়নি। মোটে ১২০ রানের টার্গেটেই ধুঁকে ধুঁকে হেরেছে পাকিস্তান। সেখানে মাত্র একদিনের ব্যবধানে খুব বেশি উন্নতি আশা করা যায় না।
ইএসপিএন ক্রিকইনফো লিখেছে, নিম্ন থেকে মাঝারি রকমের স্কোর হতে পারে। তবে উইকেট হবে বোলারদের স্বর্গ।
এমনিতে বোলারদের হাতে গতি আর সুইং থাকলেই ব্যাটারদের জন্য খেলা কঠিন হয়ে যায় অনেক সময়। আর নাসাউ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মাঠে যোগ হয়েছে অসমান বাউন্স। তাই সেখানে আজ ব্যাটারদের জীবনযুদ্ধে অবতীর্ণ হতে হবে- এটা নিশ্চিত।
এই উইকেটে ইতোমধ্যেই দক্ষিণ আফ্রিকা দুই ম্যাচ খেলে ফেলেছে। তাই তাদের অভিজ্ঞতাটা একটু বেশিই বলা যায়। অন্যদিকে বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিক ম্যাচ না খেললেও, ভারতের বিপক্ষে ওয়ার্মআপ ম্যাচের অভিজ্ঞতা নিয়েই আজ এই মাঠে নামবে।
এ বিষয়ে প্রোটিয়া অধিনায়ক এইডেন মার্করাম বলেছেন, আমরা এখানে দুটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছি। তাই কিছুটা হলেও সুবিধা পাবো আমরা। বাংলাদেশ কঠিন এক দল নিয়ে মাঠে নামবে, আমরা এই চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত। তার মতে, ১৪০ রান করাটাই হবে প্রথম চ্যালেঞ্জ।
বাংলাদেশের হেড কোচ চন্দ্রিকা হাথুরুসিংহেও জোর দিয়েছেন উইকেটের দিকেই। এ ধরনের উইকেট দুই দলের শক্তিমত্তার পার্থক্য কমিয়ে আনতে পারে বলেই মনে করেন তিনি।
এদিকে, চলতি আসরে বাংলাদেশ একটি ম্যাচে ও দক্ষিণ আফ্রিকা দুই ম্যাচে জয় পেয়েছে। দুদলেরই আজ অপরিবর্তিত একাদশ নিয়েই মাঠে নামার সম্ভাবনা বেশি।
তবে বাংলাদেশ ম্যানেজমেন্টের নজর আছে শরিফুলের সেরে ওঠার দিকেও। শরিফুলের হাতের চোট ঠিক হয়ে গেলে একাদশে থাকার সম্ভাবনাই বেশি।