বর্তমানে বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের ৮৪ শতাংশের বেশি পোশাক খাত থেকে অর্জিত হয় বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মো. খসরু চৌধুরীর এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে এ তথ্য জানান তিনি।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের ৮৪ শতাংশের অধিক দেশের অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি পোশাক শিল্প খাত হতে অর্জিত হয়। এ পর্যন্ত ১ হাজার ৮৩টি স্থানীয় এবং বিদেশি বায়িং হাউজ নিবন্ধিত হয়েছে। এসব বায়িং হাউজ পণ্যের নতুন বাজার সম্প্রসারণ এবং এ শিল্পের বিকাশে সহায়ক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, বস্ত্র অধিদপ্তরের আওতাধীন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বছরে গড়ে ৫ হাজারের অধিক শিক্ষার্থী টেক্সটাইল বিষয়ে পাস করে বের হচ্ছে। পাস হওয়া শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দেশি-বিদেশি শিল্প প্রতিষ্ঠানের চাকরিতে নিয়োজিত হয়ে বস্ত্র খাতে অবদান রাখছেন। বর্তমানে বস্ত্র অধিদপ্তরের আওতাধীন ৯টি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ এবং ১৫টি টেক্সটাইল ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউট, ৪১টি টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট চলমান রয়েছে। নতুন নতুন কোর্স সংযোজনের মাধ্যমে এ শিল্পের কারিগরি ক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে।
১০ বছরের কাঁচা পাট ১৯.০৭ লাখ টন রপ্তানি হয়েছে
গত ১০ বছরের বাংলাদেশ থেকে কাঁচা পাট ১৯.০৭ লাখ টন রপ্তানি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক।
সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী এ তথ্য জানান তিনি।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ২০১৩-১৪ অর্থবছর থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে কাঁচাপাট ১৯.০৭ লাখ টন রপ্তানি হয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য দেশগুলো হলো, ভারত, পাকিস্তান, চীন, নেপাল, ব্রাজিল, ইউকে, জিবুতি, ভিয়েতনাম, অস্ট্রিয়া, ইউএসএ, স্পেন, জার্মানি, মেক্সিকো, ফ্রান্স, মালয়েশিয়া, জাপান, কোরিয়া, তুর্কি, ইন্দোনেশিয়া, বেলজিয়াম, তিউনিশিয়া, কেনিয়া, উগান্ডা, সিংগাপুর। এ সময়ে পাট রপ্তানি বাবদ ১০ হাজার ৪৫৪ কোটি ১৬ লাখ টাকা আয় হয়েছে।