মানবদেহের গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান ক্যালসিয়াম। এই উপাদান হাড় শক্ত ও মজবুত রাখে। শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হলে কিছু উপসর্গ ফুটে ওঠে। কম বয়সে শরীরে ভরপুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকলেও, বয়স বাড়লে এই উপাদানের ঘাটতি দেখা দেয়। সে জন্য দুধ, ডিম এবং অন্যান্য ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার কথা বলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু বুঝবেন কীভাবে আপনার শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি তৈরি হয়েছে? চলুন জেনে নিই লক্ষণগুলো—
পেশি ক্র্যাম্প ও খিঁচুনি
শরীরে যদি ক্যালসিয়ামের মাত্রা কম থাকে, তাহলে পেশিতে খিঁচুনি বা ক্র্যাম্পের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। সাধারণত শারীরিক পরিশ্রম করার সময় অথবা দীর্ঘক্ষণ শুয়ে থাকার পর এ সমস্যা দেখা দেয়। একবার পেশিতে টান ধরলে দীর্ঘক্ষণ সময় লাগে তা স্বাভাবিক হতে।
অসাড়তা
ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হলে হাতের আঙুল, পায়ের আঙুল, ঠোঁট অথবা জিভে অসাড়তা অথবা পিন ফোটানোর মতো অনুভূতি লক্ষ্য করা যায়। এমন কোনো অনুভূতি হলে বুঝতে হবে আপনার শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি রয়েছে।
শারীরিক দুর্বলতা
শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হলে কম পরিশ্রম করলেও ক্লান্ত লাগে। ক্যালসিয়ামের ঘাটতি থাকলে পেশিগুলো সচল থাকে না। এর ফলে দুর্বলতা বা অলসতার সৃষ্টি হয় শরীরে।
নখ ভেঙে যায়
শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতির সব থেকে বড় প্রমাণ হলো ভঙ্গুর নখ। যদি হাত অথবা পায়ের নখ খুব সহজেই ভেঙে যায় অথবা পাতলা হয়ে যায়, তাহলে বুঝতে হবে শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব হয়েছে।
অস্টিওপোরোসিস
শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হলে খুব সহজেই হাড় ভেঙে যাওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দিলে মেরুদণ্ড বা কবজির হাড় দুর্বল হয়ে যায়।
কার্ডিয়াক অ্যারিথোমিয়াস
শুধু হাড় নয়, হৃৎপিণ্ডের সঙ্গেও ক্যালসিয়ামের সম্পর্ক ভীষণ গভীর। শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হলে অস্বাভাবিক বুক ধড়ফড়, অনিয়মিত হৃৎস্পন্দন, বুকের মধ্যে ঝাঁকুনির অনুভূতি হতে পারে।
কীভাবে ঘাটতি পূরণ করবেন?
ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণে প্রতিদিনের ডায়েটে দুধ, দই অথবা পনির রাখতে হবে। এ ছাড়া খাদ্যতালিকায় বাদাম, পালংশাক, তিলের বীজ, চিয়া রাখলে খুব সহজে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ হবে।