বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ওজন বাড়ে, বাড়ে পেটের চর্বি। পেটের মেদ বা চর্বি বেড়ে গেলে খুব অস্বস্তিবোধ হয়। অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপনের জন্যও ওজন বেড়ে যায়। আবার অনেকের শরীরের ওজন যতোটা না বাড়ে এর চেয়ে বেশি বাড়ে ভুঁড়ি। এর পেছনে দীর্ঘসময় বসে থাকা, অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণকেই দায়ী বলে মনে করছেন পুষ্টিবিদরা।
ক্লিনিক্যাল ডায়েটিশিয়ানরা বলেন, অতিরিক্ত রাত জাগা, মিষ্টি জাতীয় খাবার, চিনি, ফাস্টফুড, ট্রান্সফ্যাট জাতীয় খাবার পেটের ভুঁড়ি তথা চর্বি বাড়ার জন্য দায়ী। একটানা দীর্ঘসময় বসে থাকলেও পেটের চর্বি বাড়ে। এজন্য টানা এক ঘণ্টা বসে থাকলে, এরপর দশ মিনিট হাঁটাহাঁটি করা উচিত। নড়াচড়া করতে হবে। অতিরিক্ত কোল্ড ড্রিংস, মিষ্টি পানীয় পরিহার করতে হবে।
অস্বাস্থ্যকর ও অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপনও ভুঁড়ি বাড়ার অন্যতম কারণ। সকালের খাবার ঠিক সময়ে না খাওয়া, তিন বেলা সময়মতো খাবার না খাওয়া, কোনো এক বেলা খাবার পরিহার করলে পেটের চর্বি অনিয়ন্ত্রিতভাবে বেড়ে যায়। আবার কিছু কিছু ওষুধ গ্রহণের কারণেও ওজন ও পেটের চর্বি বেড়ে যেতে পারে।
আরও যেসব কারণে ভুঁড়ি বাড়ে
অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণে ভুঁড়ি বাড়ে। বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা যায়, অতিরিক্ত মানসিক চাপ, উদ্বেগ ও অস্থিরতা কর্টিসল হরমোন তৈরি করে। আর এ হরমোন বিপাককে ধীর করে দেয়। বিপাক কমে গেলে পেটের চর্বি কমে না। তাই মানসিক চাপ-উদ্বেগ কমিয়ে নিজেকে চাপমুক্ত রাখার চেষ্টা করতে হবে।
রোজ নিয়ম করে না ঘুমালে কিংবা অপর্যাপ্ত ঘুমালে ভুঁড়ি বাড়ে। ঘুম কম হলে হরমোনজনিত কারণে উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবারের আকাঙ্ক্ষা বেড়ে যায়। এ ধরনের খাবার বেশি খেলে ওজন তো বাড়বেই।
কম আঁশযুক্ত ও উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার বেশি খেলেও ভুঁড়ি বাড়ে। কেননা এ ধরনের খাবার খেলে ক্ষুধা নিবারণ হয় না। আর পেট না ভরলে খেতে খেতে বেশি খাবার খাওয়া হয়ে যায়।
দিনের পর দিন অলস জীবন যাপন করলে, বেশি নড়াচড়া না করলে, হাঁটাহাঁটি ও ব্যায়াম না করলেও ভুঁড়ি বাড়ে। পেটের চর্বি কমাতে রোজ ৩০-৪০ মিনিট হাঁটতে হবে। কম করে হলেও ১০-১৫ মিনিট ব্যায়াম করতে হবে।
অতিরিক্ত অ্যালকোহল গ্রহণ করলে ভুঁড়ি বাড়ে। কেননা অ্যালকোহল থেকে কোনো ধরনের পুষ্টি পাওয়া যায় না। বরং এ জাতীয় পানীয় শরীরে ক্যালরি সরবরাহ করে।