এপ্রিল ২৪, ২০২৪

আগামী বছর তাইওয়ানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। চীনের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক মোটেও সুবিধাজনক জায়গায় নেই। এই পরিস্থিতিতে সাই ​​ইং-ওয়েন তাইওয়ানে শান্তি ও স্থিতিশীলতার বর্তমান অবস্থা বজায় রাখার জন্য প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

সপ্তম বছর পূর্তিতে বক্তৃতার সময় প্রেসিডেন্ট বলেন, চীনের বেসামরিক আক্রমণ এবং সামরিক হুমকির মুখেও তাইওয়ানের জনগণ শান্ত রয়েছেন। তারা আক্রমণাত্মক নন, যুক্তিবাদী। তাদের মধ্যে উত্তেজনা নেই। যুদ্ধ কোনো বিকল্প নয়। কোনো পক্ষ একতরফাভাবে অশান্তিপূর্ণ উপায়ে স্থিতাবস্থা পরিবর্তন করতে পারে না।

সাই স্পষ্টভাবে বলেছেন, তাইওয়ান চীনের চাপ বা উসকানির কাছে নতি স্বীকার করবে না। তিনি জানান, তার মেয়াদকালে তাইওয়ানের বাসিন্দারা বিশ্বকে “আত্মরক্ষার জন্য তাইওয়ানের সংকল্প বুঝিয়ে দিয়েছে। যদিও তাইওয়ানকে ঝুঁকি দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। তবে তাইওয়ান কোনোভাবেই কারও জন্য ঝুঁকি তৈরি করেনি। বরং আমরা ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার বিষয়টি নিয়ে দায়িত্বশীল। বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশ এবং সম্প্রদায়গুলিকে পাশে নিয়ে যৌথভাবে ঝুঁকি কমানোর কাজ করবে তাইওয়ান।

গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত দ্বীপটিতে চীন সরকার সামরিক চাপ জোরদার করছে। এটিকে বেইজিং তার নিজস্ব এলাকা বলে দাবি করে।

জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার একটি বিবৃতি অনুসারে, জাপানের হিরোশিমায় একটি শীর্ষ সম্মেলনে জি-সেভেন দেশগুলির নেতারা তাইওয়ান সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য তাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

সাই বলেন, ‘তাইওয়ানের কর্মকর্তারা বর্তমানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে ৫০০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের অস্ত্র সহায়তার বিষয়ে আলোচনা করছে। তাদের লক্ষ্য কোভিডের ফলে যে দেরি হয়েছিল, তা মিটমাট করে নেয়া।’ তিনি তাইওয়ানের সাপ্লাই চেইনের বৈশ্বিক তাৎপর্যের উপর জোর দিয়েছেন, যা উন্নত সেমিকন্ডাক্টর চিপ উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দেশের শীর্ষস্থানীয় চিপ প্রযুক্তি এবং গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্রগুলিকে ধরে রাখার অঙ্গীকার করেছেন সাই।

২০২৪ সালের জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে চীন থেকে আরো আগ্রাসী পদক্ষেপ আসতে পারে ভেবেই নিজেকে প্রস্তুত করছে তাইওয়ান। মেয়াদ সীমার কারণে পুনরায় নির্বাচনের জন্য দাঁড়াতে পারবেন না সাই।

নির্বাচনে তাইওয়ানের প্রধান বিরোধী কুওমিনতাং (কেএমটি) দলের প্রতিনিধিত্বকারী নিউ তাইপেই সিটি মেয়র হাউ ইউ-ইহ বলেন, ‘সাইয়ের নেতৃত্বে তাইওয়ানকে শান্তি বা যুদ্ধ কোনো একটা বেছে নিতে হবে।” তিনি “সংলাপ ও বিনিময়ের” মাধ্যমে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা রক্ষার অঙ্গীকার করেন।

সাই আরো বলেন, ‘তাইওয়ানের সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলির শান্তিবজায় রাখার বিষয়ে একমত হওয়া উচিত। নির্বাচনী লাভের জন্য যুদ্ধের ভয়কে কাজে লাগানোর বিরুদ্ধে সতর্ক করা উচিত।’

তাইওয়ানের ভাইস প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম লাই, ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টির হয়ে হাউয়ের বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। সূত্র: ডিডাব্লিউ, এএফপি, রয়টার্স

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *