এক বছরের বেশি আগে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ শুরুর পর এই প্রথমবার দেশটির রাজধানী কিয়েভ সফর করেছেন ন্যাটো ন্যাটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ। জোটের কর্মকর্তা বলেছেন, বৃহস্পতিবার তিনি কিয়েভ পৌঁছান। তার এই সফরকে কিয়েভের নিজেকে প্রতিরক্ষার জন্য জোটের প্রতিশ্রুতির প্রতীকী তাৎপর্য তুলে ধরছে। মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি এ খবর জানিয়েছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রকাশিত স্টলটেনবার্গের ছবিতে দেখা গেছে, কিয়েভের সেন্ট মাইকেল স্কয়ারে যুদ্ধে নিহত সেনাদের প্রতি তিনি শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন।
রুশ দখলকৃত ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড খেরসনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সফরের দুই দিন পর কিয়েভ পৌঁছালেন ন্যাটো প্রধান। ফলে এই সফরের প্রতীকী গুরুত্ব অনেক বেশি। কিন্তু তার এই সফরের নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি।
ইউক্রেনে ন্যাটোর কোনও আনুষ্ঠানিক উপস্থিতি নেই। কিন্তু রাশিয়ার আক্রমণের পর ইউক্রেনের পক্ষে সোচ্চার রয়েছেন স্টলটেনবার্গ। জোটের ৩১টি সদস্য দেশের কাছ থেকে ইউক্রেনের জন্য অস্ত্র, গোলাবারুদ ও সেনাদের প্রশিক্ষণের বিষয়টি সমন্বয় করছেন করছেন।
জোটের পক্ষ থেকে ইউক্রেনকে শুধু প্রাণঘাতী নয় এমন সহযোগিতা দিচ্ছে ন্যাটো। যেমন, জেনারেটর, চিকিৎসা সরঞ্জাম, তাঁবু, সামরিক পোশাক ও অন্যান্য রসদ।
গত বছর ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণের পর একাধিক বিশ্বনেতা কিয়েভ সফর করেছেন। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে তিনবার ইউক্রেনের রাজধানী সফর করেছেন। তিনি সর্বশেষ কিয়েভ সফর করেন গত মাসে।
সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নকে মোকাবিলা করার জন্য গঠিত হয়েছিল ন্যাটো জোট। দীর্ঘদিন ধরে পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত রাশিয়ার সঙ্গে একটি বৃহত্তর যুদ্ধে জড়িত হওয়ার আশঙ্কা করছিল ন্যাটো। কিন্তু পশ্চিমারা শুরু দ্বিধা কাটিয়ে এখন ইউক্রেনকে ট্যাংক, যুদ্ধবিমান এবং উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা সরবারহ করছে। এখন পশ্চিমা উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কিয়েভ সফর নিয়মিত ঘটনা হয়ে উঠেছে।