যুক্তরাষ্ট্রে এক কিশোর বন্দুকধারীর হামলায় তিনজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া তার গুলিতে আহত হয়েছেন আরও অন্তত ছয়জন। আহতদের মধ্যে দু’জন পুলিশ কর্মকর্তা। পরে পুলিশের গুলিতে হামলাকারী ওই কিশোর নিজেও প্রাণ হারায়।
স্থানীয় সময় সোমবার (১৫ মে) যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকো অঙ্গরাজ্যের একটি শহরে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার (১৬ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিউ মেক্সিকো অঙ্গরাজ্যের একটি শহরের চার্চের বাইরে ১৮ বছর বয়সী এক কিশোর তিনজনকে গুলি করে হত্যা করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এসময় তার গুলিতে দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ ছয়জন আহত হয়েছেন। পরে চার্চের বাইরে তাকে গুলি করে হত্যা করে পুলিশ।
রয়টার্স বলছে, আলবুকার্কের প্রায় ১৮০ মাইল (২৯০ কিমি) উত্তর-পশ্চিমে নিউ মেক্সিকোর ফার্মিংটনের একটি আবাসিক এলাকায় সকালে বন্দুক হামলার এই ঘটনা ঘটে।
ফার্মিংটন পুলিশ ডিপার্টমেন্টের ডেপুটি চিফ অব অপারেশনস বারিক ক্রাম এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘একটি বিশৃঙ্খল ঘটনায় পুলিশ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। যেখানে একজন ব্যক্তি সক্রিয়ভাবে আশপাশের ব্যক্তিদের ওপর গুলিবর্ষণ করছিল।’
ফার্মিংটন পুলিশের মুখপাত্র শ্যানিস গঞ্জালেসের মতে, পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়ার আগে সন্দেহভাজন ব্যক্তির গুলিতে তিনজন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত এবং দুই কর্মকর্তাসহ ছয়জন আহত হয়েছেন।
তিনি টেলিফোনে রয়টার্সকে বলেন, সন্দেহভাজন ব্যক্তি কিছুটা পথ পায়ে হেঁটে গির্জার বাইরে তাণ্ডব চালায় এবং আপাতদৃষ্টিতে এলোমেলোভাবে পথচারীদের ওপর গুলিবর্ষণ করে। হামলার উদ্দেশ্য ঠিক কী ছিল তা স্পষ্ট নয়।
ক্রাম সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘কেন সে এই এলাকায় এসেছিল তা আমরা এখনও নির্ধারণ করার চেষ্টা করছি।’
বন্দুকধারীকে শুধুমাত্র একজন ১৮ বছর বয়সী কিশোর হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং তিনি একাই হামলার কাজে যুক্ত ছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। এছাড়া নিহতদের অন্য কারও সম্পর্কে কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি।
সংবাদমাধ্যম বলছে, যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলা নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে। ২০২৩ সালে এখন পর্যন্ত ১৯৫ জনের বেশি মানুষ দেশটিতে বন্দুক হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন। এমনকি উত্তর আমেরিকার এই দেশটিতে জনসংখ্যার চেয়েও আগ্নেয়াস্ত্রের সংখ্যা বেশি।