ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর মতো যথেষ্ঠ শক্তি ইউরোপের নেই। এ কারণে ইউরোপকে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভর করতে হয়েছে বলে জানান পূর্ব ইউরোপের দেশ ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সানা মারিন।
শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে লয়ি ইনস্টিটিউটের একটি অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেছেন ফিনিশ প্রধানমন্ত্রী। সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপ্রার্থী দেশের এ নেত্রী বলেছেন, ইউরোপকে তার সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করতে হবে।
‘আপনাদের সঙ্গে নির্মম সৎ হয়ে বলছি, ইউরোপ এ মুহূর্তে যথেষ্ঠ শক্তিশালী নয়। যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়া আমরা হয়ত বিপদে পড়ব।’
রাশিয়া চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলা করে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে ইউক্রেনকে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি অস্ত্র সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সহায়তা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে যুক্তরাজ্য।
ইউক্রেনকে সহায়তা করায় ইউরোপিয়ান দেশগুলোর অস্ত্রের মজুদ অনেকাংশে কমেছে। ফিনিশ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ইউরোপের সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করতে আরও কাজ করতে হবে।
লয়ি ইনস্টিটিউটের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী আনা মারিন আরও বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে অনেক অস্ত্র দিয়েছে। অনেক আর্থিক সহায়তা দিয়েছে, অনেক মানবিক সহায়তা দিয়েছে। কিন্তু (এরকম সহায়তা দিতে) ইউরোপ এখন পর্যন্ত যথেষ্ঠ শক্তিশালী হয়নি।’
তিনি আরও বলেছেন, এরকম পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিয়ে ইউরোপকে প্রস্তুতি নিতে হবে এবং সেই সক্ষমতা গড়ে তুলতে হবে।
এদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন তখন ন্যাটোভুক্ত ইউরোপিয়ান দেশগুলোর সমালোচনা করতেন তিনি। তার দাবি ছিল, ইউরোপ সামরিক খাতে পর্যাপ্ত খরচ করে না। ২০২০ সালের এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র তাদের মোট জিডিপির ৩.৭ ভাগ সামরিক খাতে ব্যয় করেছে। যেখানে ইউরোপের দেশগুলো ব্যয় করেছিল ১.৭৭ ভাগ।
এছাড়া ইউরোাপের প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন, জ্বালানির জন্য ইউরোপের কিছু দেশ রাশিয়ার সঙ্গে গভীর সম্পর্ক গড়ে তুলেছে।
সূত্র: বিবিসি