মার্চ ২৮, ২০২৪

কোষ্ঠকাঠিন্য কেবল বড়দের ক্ষেত্রেই সমস্যা সৃষ্টি করে না, এটি শিশুদের জন্যও অনেক সময় কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিলে সে বড়দের মতো করে সমস্যা বুঝতে পারে না বা নিজের যত্নও নিতে পারে না। তাই এক্ষেত্রে বড়দের খেয়াল রাখতে হবে। এ ধরনের কোনো সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা করতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিলে করণীয়-

শিশুকে ব্যায়াম করান

শিশুর যদি কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয় তবে তাকে ব্যায়াম করান। এতে পায়খানা আটকে থাকার সমস্যা অনেকটাই দূর হবে। এক্ষেত্রে শিশুকে চিৎ করে শুইয়ে তার দুই পা হাঁটু থেকে ভাঁজ করে ধীরে ধীরে পেটের কাছে নিয়ে যান। এরপর দুই পা আবার সোজা করে দিন। এভাবে কয়েকবার করুন। তবে এই ব্যায়ামের কারণে শিশুর যেন ব্যথা না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখবেন।

হালকা গরম পানিতে গোসল করান

শিশুকে হালকা গরম পানিতে গোসল করালে কিছু উপকার পাবেন। তার মধ্যে অন্যতম হলো এটি শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা সারাতে কাজ করবে। মেডিক্যাল নিউজ টুডে অনুসারে, গরম পানিতে গোসল করলে পেটের অ্যাবডোমিনাল মাসল রিল্যাক্স ‘মোডে’ আসার সুযোগ পায়। যে কারণে বাওয়েল মুভমেন্ট খুব সহজে হয়। তবে গরমে এভাবে গোসল না করানোই ভালো। সেক্ষেত্রে হালকা গরম পানি দিয়ে শিশুর গা মুছিয়ে দেবেন। এতেও উপকার মিলবে।

শাক-সবজি খাওয়ান

শিশুর খাবারে শাক-সবজির পরিমাণ বাড়িয়ে দিন। কারণ এ ধরনের খাবারে থাকে পর্যাপ্ত ফাইবার। এই উপাদান অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কাজ করে। সেইসঙ্গে মল তৈরি ও মল নরম রাখতে কাজ করে। এসব শাক-সবজি অল্প তেল-মসলায় রান্না করবেন। এরপর ভাত কিংবা রুটির সঙ্গে শিশুকে খেতে দিন। পাশাপাশি শিশুকে ভেজিটেবল স্যুপ করেও খাওয়াতে পারেন।

পর্যাপ্ত পানি পান করান

শরীরে পানির ঘাটতি তৈরি হলে মল শক্ত হয়ে যায়। তাই শিশুর ক্ষেত্রেও পর্যাপ্ত পানি পান জরুরি। শিশুরা অনেক সময় পানি পান করতে চায় না। এর ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের ভয় থেকে যায়। তাই শিশু যেন পর্যাপ্ত পানি পান করে, সেদিকে খেয়াল রাখুন। পানির পাশাপাশি ডাবের পানি ও ফলের রস খাওয়াতে পারেন। এতে পেট পরিষ্কার হবে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমে আসবে।

চিকিৎসকের পরামর্শ নিন

সমস্যা যদি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় তবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কারণ শিশু সব সময় নিজের সমস্যার কথা বুঝিয়ে বলতে পারে না। তাই বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখুন। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মেনে চললে দ্রুতই মুক্তি মিলবে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কখনোই কোনো ওষুধ খাবেন না বা শিশুকে খাওয়াবেন না।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *