বহু বছর ধরেই ঘি-কে 'সুপারফুড' হিসেবে গণ্য করা হয়। আধুনিক জীবনে এই ঘি পুনরায় স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে ফিরে এসেছে। কারণ আধুনিক বিজ্ঞান বলছে— এর উপকারিতা প্রচুর। ঘিয়ে রয়েছে হাজার গুণ। এতে রয়েছে একাধিক স্বাস্থ্যকর স্নেহপদার্থ বা ফ্যাট এবং সেই সঙ্গে ভিটামিন এ, ডি, ই ও কেতে ঠাসা।
ঘি থেকে শরীরে আসে প্রচুর পুষ্টি। এতে স্বাস্থ্যকর কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায় এবং একাধিক রোগ প্রতিরোধ হয়। যদিও বেশিরভাগ মানুষের খাদ্যতালিকায় ঘিয়ের সংযোজন অত্যন্ত জরুরি ও উপকারী। তবে কিছু ব্যতিক্রম আছে। কারা কারা খেতে পারেন ঘি? আর কাদেরই বা খাওয়া উচিত নয়, তা আমাদের জানা অতিজরুরি।
প্রতিদিন ঘি খাওয়ার উপকারিতা একাধিক। কিন্তু সবার ক্ষেত্রে ঘি একইভাবে উপকার করে না। কাদের ঘি একেবারেই এড়িয়ে চলা উচিত, তা আমাদের জানা প্রয়োজন। কাদের ঘি খাওয়া উচিত নয় এবার জেনে নেওয়া যাক।
যাদের পেটের সমস্যা প্রায়ই হয়, তাদের ঘি থেকে একটু দূরে থাকাই উত্তম। অনেকেরই হজমের সমস্যা খুব ঘন ঘন হয় বা পেট খারাপ হয় প্রায়ই। ঘি তাদের জন্য নয়। ডায়েটে ঘি যোগ করার আগে অবশ্যই তাদের উচিত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া। অপরিমিত ঘি খেয়ে ফেললে তাদের সহজেই পেট ফোলা, বমি বা বদহজমের আশঙ্কা থেকে যায়। এ ছাড়া গলব্লাডারের সমস্যা বা গ্যাসের সমস্যা হতে পারে।
যারা ওজন কমানোর চেষ্টায় আছেন এবং শারীরিক গঠন নিয়ে বেশ সচেতন, তারাও এড়িয়ে যেতে পারেন ঘি। অতিরিক্ত ঘি খেলে শরীরে ফ্যাট জমার সম্ভাবনা থাকে। তবে অল্প বা পরিমিত পরিমাণে ঘি অযাচিত খিদে মেটাতে সাহায্য় করে।
যাদের লিভারের সমস্যা, তাদের জন্যও ঘি খাওয়া ঠিক নয়। এতে যেহেতু ফ্যাটের পরিমাণ অনেকটা বেশি থাকে, ফলে তা লিভারকে ক্লান্ত করে তুলতে পারে এবং এতে সমস্যা আরও বাড়তে পারে। এক সমীক্ষা অনুযায়ী, সম্পৃক্ত ফ্যাট শরীরে প্রবেশ করলে তা লিভারে খারাপ প্রভাব ফেলে।
এ ছাড়া যাদের কোলেস্টেরলের মাত্রা অনেকটা বেশি, তাদের ঘি, মাখন ও তেল— সবটাই এড়িয়ে চলা উচিত। পরিমাণ মতো ঘি খেলে তা শরীরের ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। অনেকটা ঘি খেলে তা হৃদযন্ত্রের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। ফ্যাট থেকে হৃদরোগের আশঙ্কা বাড়ে।