ডিপিএল ও বিপিএলে দারুণ পারফরম্যান্সের সুবাদে জাতীয় দলে এসেছিলেন ইয়াসির আলী রাব্বি। তবে বাংলাদেশের জার্সিতে আশানুরূপ পারফরম্যান্স করতে পারেননি ডানহাতি এই ব্যাটার। যে কারণে প্রায়শই সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে তাকে। ট্রলে জর্জরিত ইয়াসিরের হয়ে ব্যাট ধরেছেন তামিম ইকবাল।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে অভিষেক হয় ইয়াসিরের। যেখানে এখন পর্যন্ত একটি হাফ সেঞ্চুরি ছাড়া কিছুই নেই ডানহাতি এই ব্যাটারের নামের পাশে। একই বছর সাউথ আফ্রিকা সফরে গিয়ে দলকে জেতাতে অবদান রাখা এক হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। যদিও বেশিরভাগ সময়ই ব্যাটিংয়ে নেমেছেন একেবারে শেষের দিকে। কয়েকটি ম্যাচে বড় ইনিংস খেলার সুযোগ পেলেও সেটা কাজে লাগাতে পারেননি ইয়াসির। এদিকে আহামরী পারফরম্যান্স না থাকায় নিয়মিত সুযোগ মেলেনি তার। অভিষেকের পর টানা দুই সিরিজ খেলেছিলেন ২৭ বছর বয়সি এই ব্যাটার। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং জিম্বাবুয়ে সফরের একাদশে সুযোগ মেলেনি তার।
ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে একাদশে ছিলেন একটি ম্যাচে। যেখানে তার ব্যাট থেকে এসেছিল ২৫ রান। ইংল্যান্ড সিরিজে খেলা না হলেও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে খেলেছিলেন ইয়াসির। আইরিশদের বিপক্ষে দুই ম্যাচে যথাক্রমে করেছিলেন ১৭ ও ৭ রান। তবে আয়ারল্যান্ড সফরের দলে ছিলেন না তিনি।
অভিষেকের পর থেকে বাংলাদেশের খেলা ২৪ ওয়ানডের মাঝে নয়টিতে একাদশে সুযোগ পেয়েছেন ইয়াসির। যেখানে ৯ ম্যাচে ১৪.৫৭ গড়ে করেছেন ১০২ রান। ইয়াসিরের সুযোগ পাওয়া নিয়ে তামিম বলেন, ‘আমার মনে হয় না, ইয়াসির যথেষ্ট সুযোগ পেয়েছে। কারণ (ঘরের মাঠে) আয়ারল্যান্ড সিরিজে ৪-৫ ওভার বাকি থাকতে ও ব্যাটিংয়ে নেমেছে। এরপর আয়ারল্যান্ডে (ইংল্যান্ড) গিয়ে কোনো ম্যাচ খেলার সুযোগ পায়নি। পরে ও আর দলে নেই।’
তামিম বেশ কবারই বলেছেন কাউকে যথেষ্ট সুযোগ দেয়ার জন্য। তবে বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে সব ক্রিকেটারকে সমান সুযোগ দেয়া কঠিন বলে মনে করেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক। তামিম মনে করিয়ে দিয়েছেন কেউ ৭-৮ ম্যাচ সুযোগ পাবে আবার কেউ ২-৩ ম্যাচ।