এপ্রিল ২৫, ২০২৪

ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডবের ৬ দিন পর এই ঝড়ের জেরে মৃতের নতুন সংখ্যা জানাল মিয়ানমারে ক্ষমতাসীন জান্তা। সামরিক বাহিনীর বিবৃতির বরাত দিয়ে জান্তা নিয়ন্ত্রিত টেলিভিশন চ্যানেল এমআরটিভি শুক্রবার জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মোখায় মিয়ানমারে প্রাণ হারিয়েছেন ১৪৫ জন মানুষ।

এর আগে ঝড়ের পরপর জান্তার পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, মোখায় মিয়ানমানমারে ৩ জনের ‍মৃত্যু হয়েছে।

গত রোববার (১৩) তারিখ প্রবল শক্তি নিয়ে মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ রাখাইনে আছড়ে পড়ে বঙ্গোপসাগরে উদ্ভূত ঘূর্ণিঝড় মোখা। এসময় রাখাইনের বিভিন্ন এলাকায় বাতাসের বাতাসের গতিবেগ ঘন্টায় সর্বোচ্চ ২১০ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠেছিল বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া রেকর্ড। ঝড়-বৃষ্টি ও জলচ্ছাসে প্লাবিত হয়ে ওঠে রাখাইন প্রদেশের রাজধানী সিতওয়েসহ বিভিন্ন অঞ্চল।

বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জান্তা জানিয়েছে, ঝড়ে এ পর্যন্ত ১৪৫ জনের মারা গেছে এবং তাদের মধ্যে ৯১ জনই রাখাইনের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে আশ্রয় শিবিরগুলোতে অবস্থান করছিল।

এই সংখ্যা সঠিক কিনা— স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি রয়টার্স। তবে রাখাইন প্রদেশের কয়েকজন বাসিন্দা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ঘুর্ণিঝড় মোখা সরে যাওয়ার পর রাখাইনের বিভিন্ন গ্রাম ও শহর থেকে ৪ শতাধিক মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং এখনও নিখোঁজ আছেন বহু মানুষ। যারা বেঁচে গেছেন— খাবার ও ওষুধের অভাবে সীমাহীন ভোগান্তিতে রয়েছেন তাদের অধিকাংশ।

মিয়ানমারের জাতিগত সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের একটি বড় কমিউনিটির বাস রাখাইনে। প্রায় ৬ লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করেন মিয়ানমারে।

জান্তার বিবৃতির বরাত দিয়ে এমআরটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, সিভিল সোসাইটির অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন দাতব্য সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে উপদ্রুত প্রদেশগুলোতে উদ্ধার কাজ ও ত্রাণ তৎপরতা চালাচ্ছে সরকারি বাহিনী।

তবে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন বিদেশি সংস্থা ও মিয়ানমারের দেশীয় বেসরকারি একাধিক সংস্থার কর্মকর্তারা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, তারা ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে অপেক্ষা করছেন, কিন্তু জান্তা এখনও কোনো দেশি-বিদেশি সংস্থাকে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি দেয়নি।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *