সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের আন্দোলন ও সহিংসতার জেরে বন্ধ হয়ে যাওয়া সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজ এখনই খুলছে না। দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী মেডিকেল কলেজ খোলা হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর।
রোববার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক মো. টিটো মিঞা।
তিনি বলেন, মেডিকেল কলেজগুলো খোলা নিয়ে এখনো কোনো আলোচনা হয়নি। যখন সার্বিক পরিবেশ শিক্ষার্থীদের হোস্টেলে থাকার মতো হবে, তখন বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। আমাদের বেশিরভাগ শিক্ষার্থী হোস্টেলে থাকে। হোস্টেল খুলে না দিলে শিক্ষার্থীরা থাকতে পারবে না, শিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবে না।
অধ্যাপক টিটো মিঞা বলেন, এ বিষয়ে সরকারের ওপর মহলের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছেন তারা। সর্বোচ্চ মহলের আদেশক্রমে যখন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে, তখন আমরাও মেডিকেল কলেজগুলো খুলে দেব। আমরা আলাদাভাবে কিছু করতে যাচ্ছি না।
প্রসঙ্গত, সারাদেশের ৩৮টি সরকারি মেডিকেল কলেজে প্রতিবছর ৫৩৮০ জন, ৬৭টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ৬২৯৩ জন শিক্ষার্থী এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পান। আর সরকারি ডেন্টাল কলেজ ও মেডিকেল কলেজের ডেন্টাল ইউনিটে ৫৪৫ জন, বেসরকারি ১২টি ডেন্টাল কলেজ এবং ১৬টি ডেন্টাল ইউনিটে ৫৪৫ জন শিক্ষার্থী প্রতি বছর ভর্তি হন।
সব মিলিয়ে সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫০ হাজারের বেশি।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে সহিংসতার কারণে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় নিয়ে ১৬ জুলাই থেকে ধাপে ধাপে বন্ধ করা হয়েছে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ১৮ জুলাই থেকে বন্ধ আছে বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজগুলো।