মূল্যস্ফীতি কমানো মুদ্রানীতি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের বিষয়। মূল্যস্ফীতি কমানো বাজেটের বিষয় নয়, যদিও বাজেট সেখানে সহযোগী ভূমিকা পালন করতে পারে। গত বছরের তুলনায় এ বাজেট সংকোচনমুখী হয়েছে; এখন সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি কার্যকর হলে মূল্যস্ফীতি কমবে বলে মন্তব্য করেছেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর।
সোমবার (১০ জুন) নিউজ পেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) ও সম্পাদক পরিষদ আয়োজিত ‘অর্থনীতির চালচিত্র ও বাজেট ২০২৪-২৫’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর এ কথা বলেন।
সম্প্রতি সুদের হার বাজারভিত্তিক করা হয়েছে এবং এটাই যদি দেড়-দুই বছর আগে করা হতো, তাহলে মূল্যস্ফীতির চাপ এখন কম থাকতো বলে মনে করেন আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, সুদের হার দেরিতে বাজারভিত্তিক করার কারণে মূল্যস্ফীতির চাপও কমবে দেরিতে।
সুদের হার বৃদ্ধি নিয়ে সভায় উপস্থিত সংসদ সদস্য ও হা-মীম গ্রুপের কর্ণধার এ কে আজাদকে উদ্দেশ্য করে আহসান মনসুর বলেন, ‘আজাদ ভাইদের জন্য এটা সুখবর নয়। তবে বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে এটা গ্রহণ করতে হবে।’
মুদ্রা বিনিময় হার বর্তমানে যেখানে আছে, ‘খুব সম্ভবত আগামী কয়েক মাস সেখানেই থাকবে। সেটা যদি থাকে এবং সুদের হার যেভাবে বাজারভিত্তিক করা হয়েছে, তা যদি থাকে অর্থাৎ কোনো হস্তক্ষেপ যদি না করা হয়, তাহলে অন্য দেশে মূল্যস্ফীতি কমার যে চিত্র দেখা গেছে, আমাদের দেশেও তাই দেখা যাবে।’
আহসান মনসুরের মতে, তারপরও জিনিসপত্রের দাম কমবে না, তবে মূল্যবৃদ্ধির হার কমবে। তিনি আরও বলেন, ‘সরকার যদি বুঝে কাজ করে, তাহলে আগামী জানুয়ারি মাসের দিকে আমরা তা আশা করতে পারি। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, মূল্যস্ফীতি ১০ থেকে কমিয়ে ৫ থেকে ৬ বা সাড়ে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনা। এটা খুব কঠিন বিষয় নয়, ৬ থেকে ৯ মাসের মধ্যেই সম্ভব।’