শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত দূর্বল ব্যবসার সাফকো স্পিনিংয়ে যে পরিমাণ মজুদ পণ্য থাকা দরকার, তার চেয়ে অনেক বেশি রয়েছে। যা একটি কোম্পানির নগদ অর্থের সংকট তৈরী করতে পারে। একইসঙ্গে মজুদ পণ্য গুদামজাত করে রাখার জন্য খরচ বৃদ্ধি ও পণ্য নষ্ট হয়ে ক্ষতির শঙ্কা তৈরী করতে পারে।
নিরীক্ষক জানিয়েছেন, সাফকো স্পিনিংয়ের কাঁচামাল ক্রয়, উৎপাদন সক্ষমতা, উৎপাদন ব্যয় ও বিক্রির তুলনায় মজুদ পণ্যের পরিমাণ অনেক বেশি। এই মজুদ পণ্য বৃদ্ধি ও কম ব্যবহারের বিষয়ে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ লিখিত ব্যাখ্যা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক।
এদিকে জমি কেনা নিয়ে অনেক বড় অর্থ নগদে লেনদেন করেছে সাফকো স্পিনিং কর্তৃপক্ষ। তারা ২০২১-২২ অর্থবছর শেষে প্রপার্টিতে ১০ কোটি ৭৯ লাখ টাকা বিনিয়োগ দেখিয়েছে। যার পরিমাণ আগের অর্থবছরের শেষে ছিল শূন্য (০০)। এখন দেখানো সম্পদের জন্য ৯ কোটি ৯০ লাখ টাকা আগে অগ্রিম দেওয়া হয়েছিল। তারা বেশিরভাগ অর্থ দিয়ে দেওয়ায় এখন প্রপার্টিতে বিনিয়োগ হিসেবে দেখিয়েছে। যা ব্যাংকিং চ্যানেলের বাহিরে নগদে হয়েছে।
দূর্বল ব্যবসার কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে শেয়ারপ্রতি ২ টাকা করে লোকসান হয়েছে। যে কোম্পানিটির সর্বশেষ ৫ বছরে কোনসময় শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) ০.৪২ টাকার বেশি হয়নি। বরং গত ৫ বছরের মধ্যে ২ অর্থবছর লোকসান গুণেছে। এরমধ্যেই আবার কোম্পানিটির শেয়ার নিয়ে হয়েছে কারসাজি। যা করতে গিয়ে আর্থিক হিসাবে কারসাজির আশ্রয় নিয়েছিল। যেখানে আয় বাড়িয়ে দেখাতে গিয়ে ব্যয় কমিয়ে দেখায়।
উল্লেখ্য, ২০০০ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া সাফকো স্পিনিংয়ের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ২৯ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। এরমধ্যে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর (উদ্যোক্তা/পরিচালক ব্যতিত) বিনিয়োগকারীদের মালিকানা ৭০ শতাংশ। কোম্পানিটির রবিবার (১৯ মার্চ) শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ১৯.৪০ টাকায়।