পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডি ডিভিশনের নির্বাচন কমিশনার লিয়াকত আলী চাতা পদত্যাগ করেছেন। তবে পদত্যাগের আগে, ওই শহরে নির্বাচনের ফলাফলে কারচুপির দায় স্বীকার করেছেন তিনি। একই সঙ্গে নিজের ও জড়িত অন্যান্য কর্মকর্তার বিচার দাবি করেন তিনি। খবর এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের
শনিবার রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, তার ওপর এতোটাই চাপ ছিল যে, একসময় আত্মহত্যার চিন্তা করেছিলেন তিনি। কিন্তু পরে জনগণের সামনে বিষয়গুলো উপস্থাপন করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, রাওয়ালপিন্ডিতে অন্তত ১৩ জন প্রার্থী হেরেছেন, কিন্তু তাদেরকে ৫০ হাজার ভোটের ব্যবধান দেখিয়ে জেতানো হয়েছে। ভোট কারচুপির জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও প্রধান বিচারপতি জড়িত দাবি করেছেন চাতা।
কমিশনার বলেন, পিন্ডিতে ভোট জালিয়াতির দায় নিচ্ছি আমি। সেই সাথে নিজেকে পুলিশে সোপর্দ করছি।
এদিকে, ফলাফলে জালিয়াতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন। শনিবার আনুষ্ঠানিক এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, কোনও বিভাগের কোনও কমিশনার, জেলা রিটার্নিং অফিসার, রিটার্নিং অফিসার, এমনকি প্রিজাইডিং অফিসারও সরাসরি নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত নন। তারপরও দ্রুত এই অভিযোগের তদন্তের ঘোষণা দিয়েছে পিইসি।