অবৈধ পথে বাংলাদেশিদের ইউরোপে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। দূতাবাস প্রসেসিং ফি’র বাইরে অতিরিক্ত কোনো অর্থ নেয় না। তাই ভিসা কিংবা ওয়ার্ক পারমিটের জন্য কাউকে অর্থ না দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইতালির রাষ্ট্রদূত আন্তোনিও আলেসান্দ্রো।
আজ মঙ্গলবার (২১ মে) বিকেলে রাজধানীর প্রবাসী কল্যাণ ভবনে প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব জানান তিনি।
অ্যান্তোনিও আলেসান্দ্রো বলেন, ইউরোপে বৈধভাবে অনেক বাংলাদেশি যাচ্ছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে অবৈধভাবে যাওয়ার প্রবণতাও বাড়ছে। বৈধ পথে কীভাবে মাইগ্রেশন করা যায়, সে বিষয়ে আলাপ-আলোচনা হয়েছে। দক্ষ জনশক্তিকে ভিসা দিতে ইতালি সরকার আগ্রহী বলে জানান তিনি।
দালাল চক্রের বিষয় সর্তকতার বিষয়ে উল্লেখ করে তিনি বলেন, চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ জনশক্তি নিয়োগ দিতে চায় ইতালি। কখনও কখনও ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে আবেদন করা হয়। ফলে ভিসা দেয়া সম্ভব হয় না।
ভিসা প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতার বিষয়ে আলেসান্দ্রো বলেন, বাংলাদেশি দালালরা আবেদনকারীদের কাছ থেকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট ম্যানেজ করে দেয়ার কথা বলে বড় অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তারা ইতালি গমনে ইচ্ছুক কর্মীদের মিথ্যা আশ্বাস দিচ্ছে, যা প্রকৃত আবেদনকারীদের ক্ষতি করছে। নকল ওয়ার্ক পারমিটের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার কারণেই প্রকৃত আবেদনকারীদের ভিসা প্রক্রিয়ায় দেরি হচ্ছে। ভিসার অ্যাপয়েন্টমেন্ট পেতে একটু দেরি হলেও ওয়ার্ক পারমিটের মেয়াদ শেষ হবে না। তাই উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।
এসময় ভিসা প্রক্রিয়া দ্রুত করার জন্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান ইতালির রাষ্ট্রদূত।