আত্মহত্যা প্রবণতা কমাবে ভিটামিন ডি। বিশ্বজুড়ে যারা আত্মহত্যা করেছেন এবং করার চেষ্টা করেন তাদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষ ভিটামিন ডি এর অভাবে ভোগেন। গত ৫ ফেব্রুয়ারি ‘ওয়ার্ল্ড অব স্ট্যাটিস্টিক’ এক টুইটবার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে।
এর মানে দাঁড়ায়, ভিটামিন ডি আত্মহত্যার ঝুঁকি কমায়। শরীরে ভিটামিন ডি এর মাত্রা যথাযথ থাকলে আত্মহত্যা করার প্রবণতা কমবে।
যেসব মানুষের আত্মহত্যার প্রবণতা আছে বলে কখনো জানা গেছে, তাদের নিয়ে একটা স্টাডি করে জানা গিয়েছে, এদের শরীরে ভিটামিন ডির অভাব রয়েছে। শুধু অভাব রয়েছেই এমন নয়, সেই অভাবের কারণেই তাদের মধ্যে এই আত্মহত্যা বা আত্মক্ষতির প্রবণতা দেখা দেয়।
স্টাডিতে দেখা গেছে, বেছে নেওয়া মানুষগুলোকে নিয়মিত ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার বা ওষুধ দেওয়ার পরে তাদের মন থেকে আত্মহত্যার প্রবণতা বা আত্মক্ষতির প্রবণতা অন্তত পক্ষে ৪৫ থেকে ৫০ শতাংশ কমে গিয়েছে।
কেন শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব ঘটে?
ভিটামিন ডি এর অভাবে ভোগে বিশ্বের অন্তত ৫০ শতাংশ মানুষ। তবে দেখা গিয়েছে, যাদের গায়ের রং একটু বেশি চাপা তাদের ত্বকে ভিটামিন ডি এর সংশ্লেষ তুলনায় কম হয়। অথবা যারা শরীরের সমস্ত অংশ ঢেকে পোশাক পরেন, তাদেরও শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব দেখা যায়। ভিটামিন ডি এর অভাব বলে মূলত হাড় ও পেশি দুর্বল হয়ে পড়ে।
ভিটামিন ডি এর অভাবে কী হয়
ভিটামিন ডি এর অভাব দেখা দিলে কিছু লক্ষণ দেখা দেবে। শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব হচ্ছে কি-না সেদিকে খেয়াল রাখুন। ভিটামিন ডি এর অভাব হলে যেসব সমস্যা হতে পারে-
* প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়া
* হাড় এবং পিঠে ব্যথা
* শরীরের ঘা শুকাতে দেরি হওয়া
* হাড় ক্ষয় হতে শুরু করা
* মাংসপেশিতে ব্যথা
* ক্লান্তবোধ করা
* অবসাদ দেখা দেয়া
* অতিরিক্ত চুল পড়া।
ভিটামিন ডি এর উপকারিতা
ভিটামিন ডি নানাভাবে আমাদের শরীরের উপকার করে। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে অনেকের দৃষ্টিশক্তির সমস্যা দেখা দেয়। ভিটামিন ডি এই সমস্যা থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে। ক্যালসিয়ামের সাহায্যে এই ভিটামিন পেশীর নানা সমস্যাও দূরে রাখে।
আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে ভিটামিন ডি। এছাড়াও হার্টের সমস্যা কমাতেও এটি উপকারী।
মাথাব্যথার সমস্যা থাকে অনেকেরই। কেউ আবার অতিরিক্ত ওজন নিয়ে সমস্যায় ভোগেন। এসব থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করে ভিটামিন ডি।
ভিটামিন ডি এর কিছু উৎস
সূর্যের আলোর পাশাপাশি বেশ কিছু খাদ্যও ভিটামিন ডি আমাদের শরীরে তৈরি করতে সাহায্য করে। এমনটাই জানিয়েছে ব্রিটিশ ডায়াটেটিক্স অ্যাসোসিয়েশন। যেমন-
* মাছের তেল
* শুকনো মাশরুম
* ডিম
* দুধ
* মাখন ইত্যাদি।