ভারতীয় পেসাররা সিরিজে এগিয়ে যাওয়ার কাজটি আগেই সেরে নিয়েছিলেন। ব্যাট করতে নেমে বাকি কাজটি করে দিয়েছেন ব্যাটাররা। পেসারদের দুর্দান্ত বোলিং এবং ব্যাটারদের শাণিত ব্যাটিংয়ে প্রথম ওয়ানডেতে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে ভারত।
জোহানেসবার্গের ওয়ান্ডারার্স ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে টস জিতে ব্যাট করতে নামা দক্ষিণ আফ্রিকাকে মাত্র ১১৬ রানে গুটিয়ে দিয়েছিলো ভারত। পেসার আর্শদিপ সিং এবং আভেশ খানের তোপের মুখে মাত্র ৫২ রানে ৬ উইকেট হারিয়েছিল স্বাগতিকরা। এরপর ২৭.৩ ওভারেই মাত্র ১১৬ রানে গুটিয়ে যায় প্রোটিয়াদের ইনিংস। ভারতীয় বাঁ-হাতি পেসার অর্শদিপ প্রথমবারের মত শিকার করেছেন ৫ উইকেট।
জয়ের জন্য ১১৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে হোঁচট খেলেও ম্যাচটি সহজেই জিতে নিয়েছে সফরকারি ভারত। দলীয় ২৩ রানের মাথায় ১০ বলে ৫ রান করে আউট হয়ে যান ওপেনার রুতুরাজ গায়কোয়াড।
এরপর শ্রেয়াস আয়ার ও সাই সুদর্শনের ফিফটিতে জয় পায় ভারত। আয়ার ৪৫ বলে ৫২ (৬ চার আর ১ ছক্কায়) রান করে ফেহলুকাইয়োর বলে ডেভিড মিলারের হাতে ক্যাচ হন। অপরদিকে ৪৩ বলে ৫৫ রান (৯ চারে) করে অপরাজিত থেকে বিজয়ীর বেশে মাঠ ছাড়েন ওপেনার সুদর্শন। শেষ পর্যন্ত ২ উইকেট এবং ২০০ বল হাতে রেখেই সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে যায় ভারত।
এর আগে দলীয় ৩ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ওপেনার রিজা হেন্ডরিক্সকে রানের খাতাই খুলতে দেন ভারতীয় পেসার আর্শদিপ সিং। আরেক ওপেনার টনি ডি জরজি ২২ বলে ২৮ রান করলেও পরের টপঅর্ডার ও মিডলঅর্ডার ব্যাটাররা পুরোপুরি ব্যর্থ হন।
তিন নম্বরে নামা রাসি ফন ডান ডুসেন গোল্ডেন ডাক মেরে (১ বলে ০) করে সাজঘরে ফেরত যান। অধিনায়ক এইডেন মার্করাম করেন ২১ বলে ১২ রান। তাকে বোল্ড করে দেন আর্শদিপ। ডেভিড মিলার (৭ বলে ২) পেসার আভেশ খানের বলে উইকেটরক্ষক লোকেশ রাহুলের হাতে ক্যাচ দেন।
দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৯ বলেন ৩৩ রান করেন লোয়ারঅর্ডারে নামা ব্যাটার আন্দি পেহলুকাইয়ো। আর্শদিপের পঞ্চম শিকার হন তিনি। এছাড়া শেষ দিকে তাবরিজ শামসির ব্যাট থেকে আসে ১১ রান।
ভারতের হয়ে ৫ উইকেট শিকার করেন আশদিপ সিং। ১০ ওভার বল করে ৩৭ রান খরচা করেন এই বাঁ-হাতি পেসার। তার সঙ্গে যোগ হয়ে আরেক পেসার আভেশ খান প্রোটিয়াদের কোণঠাসা করেন। আভেশ খান ২৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নেন। এছাড়া ১ উইকেট শিকার করেন রিস্টস্পিনার কুলদিপ যাদব।