ভারতের বিতর্কিত সংশধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) অধীনে প্রথমবারের মতো ৩০০ জন বিদেশিকে নাগরিকত্ব দিয়েছে দেশটি। লোকসভার নির্বাচনের মধ্যেই ওই ৩০০ জনের ১৪ জনের হাতে নাগরিকত্বের সনদ তুলে দেওয়া হয়।
বুধবার রাজধানী দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে তাদের হাতে নাগরিকত্বের সনদ তুলে দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা। বাকিদের কাছে এ সনদ ইমেইলের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এনডিটিভি।
পাঁচ বছর আগে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে বিজেপি সরকার সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) পাশ করে। এ নিয়ে সারা দেশে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখা দেয়। এ নিয়ে দাঙ্গাও হয় দিলিতে।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের যেসব নাগরিক ধর্মীয় কারণে অত্যাচারিত হয়ে ভারতে এসেছেন বিজেপি সরকার তাদের নাগরিকত্ব দেবেন। কারা নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্য, সেটাও ওই আইনে স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয়। একমাত্র হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পারসি ও খ্রিষ্টানরাই এই আইনে নাগরিকত্ব পাবেন। কিন্তু মুসলিমদের কথা উল্লেখ নেই এ আইনে।
এ নিয়েই বিতর্কে উত্তাল হয়ে ওঠে দেশ। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, অরাজনৈতিক সংগঠন ও মানবাধিকারকর্মীদের অভিযোগ, এই আইন ন্যায্য নয়। বরং সংবিধানবিরোধী। কারণ, এই আইনে ধর্মীয় কারণে নাগরিকত্ব দেওয়ার মতো বিষয়ে বৈষম্য সৃষ্টি করা হয়েছে।
সমালোচনার মুখে সরকার ও বিজেপি নেতারা দাবি করেন, এই আইনে কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে না। অনেক আলোচনা সমালোচনার পর অবশেষে বিদেশিদের নাগরিকত্ব দিল ভারত। ওই বিদেশিরা ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে ভারতে এসেছেন।
পাঁচ বছর আগে আইন পাশ হলেও এটি চালু করা হয় চলতি বছরের ১১ মার্চ। নির্বাচনের ঠিক আগে বিধিমালা তৈরির মধ্য দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। এই আইনে কারা নাগরিকত্ব পেলেন সে বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি। তবে স্বরাষ্ট্র সচিব দিল্লিতে যাদের হাতে সনদ তুলে দিয়েছেন তাদের অধিকাংশই পাকিস্তানের নাগরিক ছিলেন। দিল্লির একাংশে বসবাস করেন তারা।