ভারতে এক মাস আগে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হতো ২০০ রুপি। ব্যাপকভাবে দাম কমে সেই টমেটো এখন বিক্রি হচ্ছে ৩ রুপিতে। বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রতি রুপি ১ টাকা ৩২ পয়সা ধরলে প্রতি কেজি টমোটোর দাম কমেছে ২৬৪ টাকা ৭৭ পয়সা।
দাম এতটা পড়ে যাওয়ার কারণ, এবার টমেটোর বিপুল উৎপাদন হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে মহারাষ্ট্রের চাষিরা টমেটো ফেলে দিচ্ছেন বা ধ্বংস করে ফেলছেন।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, এই পরিস্থিতিতে চাষি ও বাজারসংশ্লিষ্ট মানুষেরা হতচকিত হয়ে পড়েছেন। মহারাষ্ট্রের নাসিকের কৃষিকর্মী শচীন হোলকার বলেন, বাজারের এ ধরনের ওঠানামা ঠেকানোর একমাত্র পথ হচ্ছে, টমেটোর জন্য ন্যূনতম মূল্য সহায়তার ব্যবস্থা করা।
এই পরিস্থিতিতে যে চাষিরা টমেটো বিক্রি করেছেন তাদের ভাষ্য হচ্ছে, বিনিয়োগের অর্ধেক অর্থও তোলা সম্ভব হয়নি। এক একর জমিতে টমেটো চাষ করতে অন্তত দুই লাখ রুপি বিনিয়োগের প্রয়োজন হয়।
মহারাষ্ট্রের পুনেতে টমেটোর দাম কেজিতে পাঁচ টাকায় নেমে এসেছে। নাসিকে ২০ কেজি টমেটোর দাম ছয় সপ্তাহ আগেও ছিল দুই হাজার রুপি, এখন তা ৯০ রুপিতে নেমে এসেছে।
মহারাষ্ট্র কৃষি দপ্তরের তথ্যানুসারে, নাসিক জেলায় ১৭ হাজার হেক্টর জমিতে টমেটো চাষ হয়। সেখানে টমেটো উৎপাদন হয় ছয় লাখ মেট্রিক টন। কিন্তু চলতি বছর ৩৫ হাজার হেক্টর জমিতে টমেটো চাষ হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এবার সেখানে ১২ দশমিক ১৭ লাখ টন টমেটো উৎপাদিত হবে।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই ভারতের বাজারে টমেটোর দাম কমছে। এই পরিস্থিতি দেখে পুনে জেলার বিভিন্ন গ্রামে কৃষকেরা টমেটো চাষ বন্ধ করে দিয়েছেন। মহারাষ্ট্রে টমেটোর সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার হলো পিমপালগাঁও। সেখানে দৈনিক ৪০ লাখ কেজি টমেটোর নিলাম হয়। সেখানেও দাম অনেকটা পড়ে গেছে