সেমিফাইনালে খেলার সম্ভাবনা টিকিয়ে রাখতে ভারতের দেওয়া ৩৭৫ রান তাড়া করতে নেমে মাত্র ৫৫ রানেই গুঁড়িয়ে গেছে লঙ্কানদের ইনিংস। যা বিশ্বকাপ ইতিহাসে দ্বিতীয় বড় হার (৩০২ রান)।
সিরাজ-শামিদের সামনে তাসের ঘরের মতো হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছে লঙ্কানদের টপ অর্ডার। রান পাহাড় ডিঙাতে গিয়ে পাথরের নিচে চাপা পড়েছে লঙ্কানরা। লঙ্কানদের উইকেট পতনের শুরু প্রথম বল থেকেই। এরপর থেমেছে ১৯.৪ ওভারে মাত্র ৫৫ রান করে। আর তাতে ৩০২ রানের লজ্জার হার নিশ্চিত হয়েছে দলটির। সেই সঙ্গে শেষ হয়ে গেছে সেমিতে খেলার ক্ষীণ সম্ভাবনাটুকুও।
ভারতীয় বোলাররা কতোটা ভয়ঙ্কর তা সবশেষ ম্যাচেই টের পেয়েছে ইংল্যান্ড। গুটিয়ে গেছে মাত্র ১২৯ রানে। সেই আগ্রাসী রূপটা এবার টের পেল শ্রীলংকান ব্যাটাররাও। সেমিফাইনালের রেসে টিকে থাকার ম্যাচে ভারতের ৩৫৮ রানের পাহাড় টপকাতে গিয়ে শুরুতেই খেই হারিয়েছে লঙ্কানরা। বুমরাহর পর মুম্বইয়ে দেখা গেছে সিরাজ সেনসেশন। ৩ রানেই চার উইকেট হারিয়েছে লঙ্কানরা।
ভারতের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই সাজঘরের পথ ধরেন পথুম নিশঙ্কা। বুমরাহর বলে লিগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন এই ব্যাটার। পরের ওভারে এসে গতিতে লঙ্কানদের নাজেহাল করেন মোহাম্মদ সিরাজ। তুলে নেন লঙ্কানদের দুই উইকেট। নিজের দ্বিতীয় ওভারে এসে ফেরান কুশাল মেন্ডিসকে। ৩ রানেই ৪ উইকেট হারায় লঙ্কানরা। সিরাজের বোলিং তোপের মুখে উইকেটে দাড়াতেই পারেননি করুণারন্তে সমারাবিক্রমরা। এরপর কিছুক্ষন উইকেটে দাত কামড়ে থাকলেও কিছুই করতে পারেননি আসালাঙ্কা ও দুষ্মন্ত হেমন্ত। পাওয়ার প্লের আগেই শামির তোপে পাওয়ার শেষ লঙ্কানদের। ১৪ রানে নেই ৬ উইকেট। উকি দিচ্ছে লজ্জার হারের।
এই যখন অবস্থা তখন লজ্জা এড়াতে চেষ্টা করলেন অভিজ্ঞ অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ। কেননা ৩৬ রানের কমে আউট হলেই বিশ্বকাপের সর্বনিন্ম রানে অলআউট হওয়ার লজ্জার রেকর্ড হবে দলটির। ২০০৩ বিশ্বকাপে তাদের বিপক্ষেই ৩৬ রানে অলআউট হয়ে লজ্জার রেকর্ড গড়েছিল কানাডা। সেই লজ্জা অবশ্য এড়িয়েছে লঙ্কানরা। তবে ঠিকই বিশ্বকাপে নিজেদের ইতিহাসে সবচেয়ে কম রানে অলআউট হওয়ার রেকর্ড গড়েছে লঙ্কানরা ৫৫ । এর আগের রেকর্ডটি ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৮৬ রানে।
৩০২ রানের জয়ের দিনে নিজেদের বিশ্বকাপ ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জয় পেয়েছে ভারত। এমন দিনে পাঁচ উইকেট শিকার করেছেন শামি।