দ্বিতীয় দিনের মতো ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে যশোরের রূপদিয়া পর্যন্ত ১২০ কিলোমিটার বেগের ট্রায়াল ট্রেন (পরীক্ষামূলক ট্রেন) ছেড়ে গেছে।
রোববার (৩১ মার্চ) সকাল ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে ভাঙ্গার বামনকান্দা রেলওয়ে জংশন থেকে ট্রেনটি ছেড়ে যায়। গতকাল শনিবার (৩০ মার্চ) সকালের একই সময়ে ও দুপুরে দুইটি ট্রেন পরীক্ষামূলকভাবে উচ্চগতিতে চালানো হয়। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ভাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনের পয়েন্টম্যান মো. নাঈম ইসলাম।
তিনি জানান,পাঁচটি বগি নিয়ে বিশেষ ওই ট্রায়াল ট্রেন ভাঙ্গা জংশন থেকে যশোরের রূপদিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। ট্রেনটি সেখানে সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে পৌঁছার কথা রয়েছে। এ ট্রেনে যাত্রী হিসেবে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ, চায়না ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরের কর্মকর্তারা রয়েছেন।
ভাঙ্গা রেলওয়ে জংশন সূত্রে জানা গেছে, এই ট্রায়াল ট্রেনে চালকের দ্বায়িত্ব পালন করছেন মো.সাখাওয়াত হোসেন। ৮৭ দশমিক ৩২ কিলোমিটারের এই পথে ট্রেনটি ১২০ কিলোমিটার সর্বোচ্চ গতি উঠিয়ে চলানো হবে। তবে সবসময় এর গতি ১২০ কিলোমিটার বেগে থাকবে না। ট্রেনটির ফিরে আসার সময় এখনো নির্ধারিত হয়নি। আজকের যেকোনো সুবিধাজনক সময়ে একই গতিতে ট্রেনটির আবার ভাঙ্গায় ফিরে আসার কথা রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলকে রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় আনতে এই রেলপথ নির্মাণ করা হচ্ছে। বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ অর্থায়নে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘চায়না রেলওয়ে গ্রুপ’ (সিআরইসি) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত ব্রডগেজ ওই রেলপথে কাশিয়ানী এবং যশোরের পদ্মবিলা ও সিঙ্গিয়াতে রেলওয়ে জংশন থাকছে। এ ছাড়া নগরকান্দা, মুকসুদপুর, মহেশপুর, লোহাগড়া, নড়াইল এবং যশোরের জামদিয়া ও রূপদিয়াতে রেলস্টেশন হচ্ছে।
এদিকে উচ্চগতির এ পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচলের জন্য পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্প কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে। এতে বলা হয়, আগামী ৩০ ও ৩১ মার্চ ফরিদপুরের ভাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন থেকে যশোরের রূপদিয়া রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত পরীক্ষামূলক ট্রেন উচ্চগতিতে চলাচল করবে। এ সময় ট্রেনের গতি থাকবে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার। ট্রেন চলাচলের সময় রেললাইনের ওপর জনসাধারণের চলাচল সম্পূর্ণ নিষেধ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পরীক্ষামূলক এ ট্রেন চলাচলের সময় কোনো ধরনের দুর্ঘটনা বা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়ানোর জন্য পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প সংলগ্ন এলাকাবাসী ও এলাকায় চলাচলকারী সর্বসাধারণ পরিবারের শিশু, বৃদ্ধ, মানসিক প্রতিবন্ধী (যদি থাকে) এবং গৃহপালিত প্রাণীগুলোকে নিজ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।