দেশের পুঁজিবাজারে মধস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান ট্রেকহোল্ডার বা ব্রোকারেজ হাউসের সমন্বিত গ্রাহক হিসাবের (সিসিএ) অবণ্টনকৃত মুনাফার তথ্য জমা দেয়ার সময় বাড়িয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। আগামী ২১ মে পর্যন্ত এ সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। তথ্য চেয়ে আশানুরূপ ফল না পাওয়ায় সম্প্রতি এ বিষয়ে জানিয়ে একটি চিঠি ব্রোকারেজ হাউজগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বরাবর পাঠিয়েছে ডিএসই।

এর আগে গত ১১ মের মধ্যে প্রতিষ্ঠানগুলোকে তথ্য জমা দিতে বলা হয়েছিল। সেই সঙ্গে সর্বশেষ ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বিনিয়োগকারী সুরক্ষা তহবিলে যথাযথভাবে অর্থ জমা হয়েছে কি না এবং এর বর্তমান স্থিতির ব্যাপারেও জানতে চাওয়া হয়েছে।

ট্রেকহোল্ডারদের দেয়া ডিএসইর চিঠিতে বলা হয়েছে, এর আগে এ বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) একটি সিদ্ধান্ত নেয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ডিএসইর কাছে ‘ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ইনভেস্টর প্রোটেকশন ফান্ড) আইন, ২০১৪’ অনুযায়ী যেসব উৎস থেকে তহবিলে অর্থ জমা হওয়ার বিধান রয়েছে, সেসব উৎস থেকে তহবিলে ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত যথাযথভাবে অর্থ জমা হয়েছে কি না এবং এর বর্তমান পরিস্থিতির ব্যাপারে প্রয়োজনীয় তথ্য দেয়ার জন্য গত ১৮ এপ্রিল নির্দেশ প্রদান করা হয়েছিল।

কিন্তু ব্রোকারেজ হাউজগুলো তথ্য না দেয়ায় এবং আশানুরূপ ফল না পাওয়ায় ডিএসইর ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ আগামী ২১ মে পর্যন্ত এ সময় বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। তাই এ বিষয়ে চিঠিতে দেয়া ছক অনুসারে নির্দিষ্ট সময় শেষ হওয়ার আগে তথ্য প্রদানের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।

উল্লেখ, ২০২১ সালের জুনে বিএসইসির নির্দেশনা অনুযায়ী ট্রেকহোল্ডার কোম্পানির সিসিএ হিসাবের অবণ্টনকৃত মুনাফা থেকে অর্থ সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে জমা করার বিধান করা হয়েছে। সে অনুযায়ী ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত জমাকৃত অর্থের ব্যবহার-সংক্রান্ত তথ্য জমা দিতে বলা হয়েছে। এজন্য চিঠিতে উল্লেখিত ছক অনুযায়ী আগামী ১১ মের মধ্যে সে তথ্য দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে ডিএসই।

এর আগে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই-সিএসই) বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা তহবিলের (ইনভেস্টর প্রোটেকশন ফান্ড) ট্রাস্টি বোর্ড পুনর্গঠন করা হয়। প্রতি বছর এ বোর্ডর পুনর্গঠন করা হয়ে থাকে। এরই ধারবাহিকতায় ডিএসই ও সিএসইর বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা তহবিলের ট্রাস্টি বোর্ডে নতুন দুই চেয়ারম্যান নিয়োগের অনুমতি দেয় বিএসইসি। এদিকে এ বিষয়ে জানিয়ে ডিএসই ও সিএসইর ব্যবস্থপনা পরিচালক বরাবর পৃথক দুটি চিঠি আলাদাভাবে পাঠানো হয়।