ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) এবারের আসরে রান বন্যা হয়েছে। ফাইনালের আগে এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে রান হয়েছে ২৫ হাজার ১৭৮ রান। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রান তুলেছেন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের ব্যাটাররা। তারাই করেছেন ২ হাজার ৯৪৫ রান।
এবারের আইপিএলে মোট ৩৬টি দুইশ পেরুনো ইনিংস দেখেছেন দর্শকরা। এর মধ্যে মুম্বাই ছয়বার দুইশ পেরিয়েছে। এর তিনটিই এসেছে মুম্বাইয়ের হোম ভেন্যু ওয়াংখেড়েতে। ৬ ম্যাচে দুইশ পেরুলেও রোহিত শর্মার দল এর মধ্যে জিতেছে ৪টিতে। ফলে বোঝাই যাচ্ছে ব্যাটাররা দুর্দান্ত ফর্মে থাকলেও বোলাররা নিজেদের কাজটা ঠিকভাবে করতে পারেননি। ইনজুরির কারণে মুম্বাই এবারের আসরে পায়নি প্রাইম বোলার জসপ্রিত বুমরাহকে। চোটের কারণে ৫ ম্যাচের বেশি খেলতে পারেননি বিদেশি রিক্রুট জোফরা আর্চার। বাকি বোলারদের মধ্যে ক্রিস জর্ডান ছিলেন প্রচুর খরুচে। আরেক বিদেশি পেসার জেসব বেহরেনড্রফ ১২ ম্যাচে ১৪টি উইকেট পেয়েছেন মাত্র।
মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের প্রধান কোচ মার্ক বাউচার বলেন, ‘আপনি দেখুন বুমরাহ এবারের আসরে খেলতে পারেনি, জোফরা সব ম্যাচে খেলতে পারেনি। তারা মানসম্পন্ন প্লেয়ার। যদি এভাবে মান সম্পন্ন প্লেয়ার হারাতে থাকেন তাহলে ঘাটতি তৈরি হবেই। কাউকে দোষ দিচ্ছি না। খেলাধুলায় এমনটা হয়েই থাকে। খেলাধুলায় ইনজুরি হবেই, এটার সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। আমরা মনে করেছিলাম যাদের আমরা নিয়ে এসেছি তারা পরিস্থিতি অনুযায়ী সেরাটাই দিয়েছে। তারা অপরিণত হয়ে আসেনি। যদিও তাদের মৌসুমের শেষভাগে নেয়া হয়েছে। তাদের মতো দুজন (বুমরাহ-আর্চার) ক্রিকেটারকে হারানো বেশ কঠিন ব্যাপার। কিন্তু আমরা আমাদের সেরাটা দিয়েছি এবং কিন্তু সেটা যথেষ্ট ছিল না।’
অবশ্য এমন পরিস্থিরির পরও বোলারদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন বাউচার। এবারের আইপিএলে মুম্বাইয়ের সেরা বোলার পিযুষ চাওলা। তিনি ১৬ ম্যাচে ২২ উইকেট নিয়েছেন। দলটির বাকি বোলাররা তার ধারে কাছেও নেই। টুর্নামেন্টের মাঝ পথে দলটির ভরসা করতে হয়েছিল অর্জুন টেন্ডুলকার, আকাশ মাধওয়ালদের মতো অনভিজ্ঞ বোলারদের ওপর। তারাও নিয়মিত পারফর্ম করতে পারেননি।
এ প্রসঙ্গে বাউচার বলেন, ‘বোলারদের ব্যাপারে আপনাকে ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে তাকাতে হবে। আপনি যদি দেখেন ওয়াংখেড়েতে যা পরিমাণ রান হয়েছে এবং তা চেজ হয়েছে। আপনি হয়তো পরিসংখ্যানগুলো দিকে তাকাবেন এবং বলবেন আমাদের বোলাররা অনেক রান দিয়েছে। অনেক ম্যাচে তারা ভালোও করেছে। আমাদের বোলিং লাইনআপ কিছুটা অনভিজ্ঞ ছিল। কিন্তু তাদের সঙ্গে আমার ভালো কথাবার্তা হয়েছিল এবং টুর্নামেন্টের সঙ্গে সঙ্গে তাদের পারফরম্যান্সেও উন্নতি হয়েছে।’