প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ১৫, ২০২৪, ৫:৪২ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুলাই ১৩, ২০২৩, ৩:০০ এ.এম
পুরোনো খবরকে নতুণ করে রং মেখে সাজিয়ে প্রচারে মিডিয়ার প্রতি খানিকটা অসন্তুষ্ট লক্ষ্য করা গিয়েছে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের মধ্যে।
পাশাপাশি বিষয়টিকে তারা উদ্দেশ্যমূলক হিসেবে দেখছেন। বিনিয়োগকারীদের ধারণা ফ্লোর প্রাইসের বিরুধীদের সংঘবদ্ধ চক্র অর্থের বিনিময়ে একই সংবাদ ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে প্রচার করে আসছে।
অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্ট’ বা ওসিসিআরপিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে একজন প্রবাসী বিনিয়োগকারী জাভেদ এ মতিন অর্থ আর্তসাৎ করে দেশে টাকা এনেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। মোনার্কের পক্ষ থেকে বিষয়টি ব্যবসায়িক নিছক ভুলবুঝাবুঝি ছিল, যা পরবর্তীতে সমাধান করা হয়েছে বলে জানানো হয়।
প্রদিবেদনটিতে জাভেদ এ মতিনের টাকা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের অ্যাকাউন্টে আসা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, যার স্পষ্ট উত্তর তিনি আগেও দিয়েছিলেন।
শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, 'একটি বৈধ ইজারা চুক্তির অধীনে অগ্রিম ভাড়া, নিরাপত্তা জামানত এবং অগ্রিম নির্মাণ ব্যয় বাবদ তার ব্যাংক হিসাবে ২ লাখ ৭৭ হাজার ৯২৪ ডলার এনেছি।'
'আমি বৈধ চ্যানেলে এই অর্থ পেয়েছি। আমার খারাপ উদ্দেশ্য থেকে থাকলে আমি কেন এই অর্থ দেশে আনতাম এবং সেটাও বৈধ চ্যানেলে', প্রশ্ন রাখেন তিনি।
'মিং গ্লোবাল দাবি করে যে, তাদের অর্থ আমার কাছে পাঠানো হয়েছে, তখন তিনি বুঝতে পেরেছি যে এখানে জটিলতা আছে। এ কারণে আমি আদালতে টাকা জমা দিয়েছি। আদালতই সিদ্ধান্ত নেবে এই অর্থ কার কাছে যাবে,' যোগ করেন তিনি।
বিনিয়োগকারীরা ধারণা করছেন, এর আগে অনেকবার একই প্রশ্নের সদুত্তর জানানো হলেও পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণ সংস্থার চেয়ারম্যানের দায়িত্বে নিয়োজিত থাকায় তাকেই জড়িয়ে বারবার উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে।
একই সংবাদের হেডিং চেঞ্জ করে পুনরায় প্রচারের পিছনে বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজার ধ্বংসের ষড়যন্ত্র থাকতে পারে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের ফেসবুক পেজে এ বিষয়ে একটি পোস্ট করা হয়। যা হুবহু তুলে ধরা হলো -
'হলুদ সাংবাদিকতাকে ধিক্কার জানাই'
দুজনই আমাদের সকলের প্রিয় মুখ- একজন পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আল আমিন স্যার, আরেক জন আমাদের সম্মানিত চেয়ারম্যান স্যার। দুজন মানুষই সমাজকে আলোকিত করতে নিয়োজিত। তবে জীবনের বাঁকে নিজের দায়িত্ববোধ থেকে সমাজ, দেশ জাতিকে এগিয়ে নিতে দায়িত্ব নেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের। সমস্যাটা তখনই হয় যখন পুঁজিবাজার বিষয়ে দায়িত্ব নেন বা মন্তব্য প্রদান করেন। একজন পুঁজিবাজার বিশ্লেষক হিসেবে ফ্লোর প্রাইস বহাল রাখার পক্ষে সোচ্চার অথবা হোক দুর্বল কোম্পানির কর্তৃত্বের প্রতিবাদ - মোট কথা সাধারণ বিনিয়োগকারীর স্বার্থে থাকলেই তার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলক সংবাদ। একবার হলে বুঝতাম, কয়েকবার এই মানুষটির বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলক সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। যেন আল আমিন সাহেবকে থামানোই ওদের মূল উদ্দ্যেশ, দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেটের টার্গেট এই পুঁজিবাজার বিশ্লেষককে কিচ্ছু বলতে দেওয়া যাবে না।
# সম্মানিত চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত ইসলাম স্যারও একজন দেশ গড়ার কারিগর সম্মানিত শিক্ষক। পুঁজিবাজারের দায়িত্ব নেওয়ার পর করোনা মহামারি, বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার মত এতো কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়ে একের পর এক ধাক্কা সামলিয়ে ফ্লোর প্রাইসের মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়ে পুঁজিবাজারকে একটু একটু করে এগিয়ে নিচ্ছেন। তার সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে সমর্থন দিয়ে আসছেন সাধারণ বিনিয়োগকারী সহ বিভিন্ন মহল। তবে সমস্যা কোথায়? সমস্যা হচ্ছে যে, লুটপাটকারী, দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীরা ফ্লোর প্রাইস থাকাতে বিনিয়োগকারীদের লুটতে পারছে না। ওদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। দেশীয় পত্রিকা বা মিডিয়াকে রাজি করাতে না পেরে দেশের বাহির থেকে পরিচালিত সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বিভিন্ন ভুলভাল তথ্যকে অতিরঞ্জিত করে প্রচার করিয়ে আসছে।
একই বিষয় ভুল প্রমাণিত হওয়ার পরও তেনা পেঁচানোর মতো বারবার প্রচার করেই আসছে। টার্গেট দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন, পাশাপাশি চাঁদা দাবি।
পরিশেষে- সকল বিনিয়োগকারীদের অনুরোধ করবো, দুষ্কৃতকারীদের কথায় কান না দেওয়ার। যারাই প্রধানমন্ত্রীর কাছাকাছি যান, সরকার পতনের মিশনকে বাস্তবায়ন করতে ওই সিন্ডিকেট সম্মানিত ব্যক্তিদের অসম্মানিত করে উদ্দেশ্যমূলক হলুদ মিডিয়াগিরি করে আসছে।
সাধারণ বিনিয়োগকারী, ওরা নির্বাচনকে সামনে রেখে পুঁজিবাজার ধ্বংসের ষড়যন্ত্র / নীল নকশা আঁকছে।