সরকারি-বেসরকারি স্কুলে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন করার সময় শেষ হয়েছে শনিবার (৩০ ডিসেম্বর)। গত ১২ নভেম্বর থেকে অনলাইনে এ আবেদন শুরু হয়। ১৮ দিনে সরকারি বেসরকারি মিলিয়ে মোট ৯ লাখ ৬৫ হাজার ৭০৪ জন শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন করেছে। এরমধ্যে সরকারি স্কুলে ভর্তির জন্য আবেদন পড়েছে ৬ লাখ ২৫ হাজার ৯০৩টি আর বেসরকারি স্কুলে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৮০০টি।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেল ৫টা পর্যন্ত জমা পড়া আবেদন বিশ্লেষণ করে এমনটিই জানা গেছে। ভর্তি আবেদন কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
মাউশির মাধ্যমিক শাখা থেকে শেষ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য বলছে, শনিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে মোট ৯ লাখ ৬৫ হাজার ৭০৪ জন শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন করেছে। তারা মোট স্কুল পছন্দ দিয়েছে ১৫ লাখ ৬৩ হাজার ৭৩৮টি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে সরকারি স্কুলগুলোতে। সরকারি স্কুলে ৬ লাখ ২৫ হাজার ৯০৩টি আবেদন পড়েছে। অন্যদিকে ১০ লাখের বেশি আসন থাকার পরও বেসরকারি স্কুলে আবেদন পড়েছে মাত্র ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৮০০টি।
বেসরকারি আসন ফাঁকা ৭৬ শতাংশ
অন্যদিকে ঢাকা ও বিভিন্ন মহানগর ও জেলা সদর পর্যায়ের ৩ হাজার ১৯৮টি বেসরকারি স্কুলের ১০ লাখ ৭ হাজার ৬৭১টি আসনে ভর্তির জন্য আবেদন করেছে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৮০০ জন। তারা পছন্দ দিয়েছে মোট ৬ লাখ ১৩ হাজার ৭টি। সরকারি স্কুলের চেয়ে ৮ গুণ বেশি আসন হওয়ার পরও এখানে ৬ লাখ ৬৮ হাজার ৮৭১টি বেশি আসন এখনো খালি। অর্থাৎ বেসরকারি স্কুলগুলোতে এখনো প্রায় ৭৬ শতাংশ আসন খালি রয়ে গেছে।
জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পর্যায়ের ভর্তি কমিটির সদস্যসচিব এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমিক শাখার উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আজিজ উদ্দিন বলেন, সুযোগ-সুবিধা বিবেচনায় সবাই তার সন্তানকে সরকারি স্কুলে ভর্তি করাতে চায়। বিশেষ করে ঢাকা মহানগরসহ বিভিন্ন মহানগর ও জেলা সদরে এ প্রবণতা বেশি। এর কারণ হলো সরকারি স্কুলে শিক্ষক ও শিক্ষার মান বেসরকারির চেয়ে ভালো। এছাড়াও খরচের বিষয়টি তো রয়েছেই।