দেশের দুই জেলা ময়মনসিংহ ও মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় ৯ জনের প্রাণহানি হয়েছে। তাদের মধ্যে চারজন পোশাককর্মী রয়েছেন। এছাড়া দুটি দুর্ঘটনায় অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার (১১ অক্টোবর) সকালে যাত্রীবাহী বাস ও লেগুনায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
ময়মনসিংহের ত্রিশালে বাস চাপায় ৪ গার্মেন্টসকর্মীসহ ৫ জন নিহত হয়েছেন। বুধবার (১১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উপজেলার চেলেরঘাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ত্রিশাল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইন উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া এ ঘটনায় প্রায় ১০ জন আহত হয়েছেন।
এ দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন, ত্রিশালের রাগামারা আহেদ আলী ছেলে সোহেল মিয়া (৩৫)। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়। নিহত বাকি ৪ জন গার্মেন্টসকর্মী। তারা হলেন, সদরের চুরখাই এলাকার কামরুজ্জামান লিটন (২৮), ত্রিশাল দক্ষিণ তেতুলিয়া এলাকার জেসমিন আক্তার (৩০), নওপাড়া এলাকার সিরাজুল ইসলাম (২৮) ও অন্যজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সদরের চুরখাই ও ত্রিশাল থেকে শেরপুর থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী শাহ পরান নামের একটি বাসে ওঠেন গার্মেন্টসকর্মীরা। চেলেরঘাট এলাকায় যেতে বাসটির চাকা প্যাংচার হয়। এসময় বাসটি সড়কের পাশে দাঁড় করিয়ে মেরামত করছিল। এতে গার্মেন্টসকর্মীরা নেমে অন্য বাসের জন্য অপেক্ষা করছিল। এরই মধ্যে বাসের কয়েকজন যাত্রী ইসলাম পরিবহনের আরেকটি বাসকে সিগনাল দিয়ে দাঁড় করান। এ সময় রাসেল গার্মেন্টসের একটি বাস এসে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রী ও বাসে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন ও ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন এবং ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরও একজন মারা যান।
ত্রিশাল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় আহত ৭ জনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
মানিকগঞ্জ
ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জে সদর উপজেলার ভাটবাউর এলাকায় যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় একটি লেগুনা খাদে পড়ে চারজন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এছাড়া দুজন আহত হয়েছেন।
বুধবার (১১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, যাত্রী নামানোর জন্য সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা লেগুনাকে পেছন থেকে আকিজ গ্রুপের একটি স্টাফ বাস সজোরে ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে লেগুনাটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে থাকা খালের পানিতে পড়ে যায়।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। তবে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহগুলো মর্গে পাঠানো হয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনার কারণে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক প্রায় দুই ঘণ্টা বন্ধ ছিল।