বেনাপোল প্রতিনিধি(যশোর):: দেশের সবচেয়ে বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল দিয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আমদানিকৃত পণ্যের উপর রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য মাত্রা ৬ হাজার ৭০৫ কোটি টাকা নির্ধারন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর। এ লক্ষমাত্রা গত অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৭৫৭ কোটি বেশি টাকা। সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে এ রাজস্ব আয় করবে বেনাপোল কাস্টমস হাউস। বানিজ্যিক সংশিষ্টরা বলছেন, ব্যবসা বান্ধব পরিবেশ,বন্দরের অবকাঠামোগত সুবিধা আর পণ্য খালাস সহজিকরণ অব্যহত থাকলে নতুন বছরে লক্ষমাত্রা অর্জন অনেকটা সহজ হবে।
এর আগে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রাজস্বের লক্ষমাত্রা দেওয়া হয়েছিল ৫ হাজার ৯৪৮ কোটি টাকা। এসময় আদায় হয়েছিল ৬ হাজার ১৬৫ কোটি টাকা। যা লক্ষমাত্রার চেয়ে বেশি ছিল ২১৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।
বেনাপোল আমদানি,রফতানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক জানান, দিন দিন ভারত বাংলাদেশ বানিজ্যক সম্পর্ক্য বাড়ায় সামনের দিনে আমদানি ও রাজস্ব আরো বাড়বে আশা করছি।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের ক্রিড়া সম্পাদক আসাদুজ্জামান জানান, বন্দর ও কাস্টমসে ব্যবসা বান্ধন পরিবেশ বজায় থাকলে লক্ষমাত্রা ১০ হাজার কোটি টাকাও অর্জন করা সম্ভব।
বন্দর থেকে পণ্যবাহী ট্রাক চালক কামরুল জানান, আগে বেনাপোল থেকে ঢাকা পণ্য পরিবহনে ১২ ঘন্টা থেকে দিন পার হয়ে যেত। এখন পদ্মা সেতুর কারনে তারা খুব সহজে মাত্রা ৫ ঘন্টায় পৌছাতে পারছে। এতর তারা এখন বেশি বেনাপোল বন্দর মুখী হচ্ছেন।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের কাস্টমস বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল লতিফ জানান, সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় হয় ফেব্রিক্স, পচনশীল দ্রব্য, ইংগড, ট্রাক চেচিস, মটরপার্স এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল কাঁচামাল থেকে। যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে বানিজ্য সহজ হয়েছে।এতে অনেক ব্যবসায়ী এখন বেনাপোল বন্দর ব্যবহার করছেন। ফলে চলতি অর্থ বছর কাস্টমসের যে রাজস্ব আয়ের লক্ষমাত্রা ৬ হাজার ৭০৫ কোটি টাকা সেটা অর্জনের সুযোগ রয়েছে।
বেনাপোল বন্দর পরিচালক রেজাউল করিম জানান,বানিজ্য সম্প্রসারনে বন্দরে এবছর কার্গোভেহিকেল টার্মিনাল সহ আরো একাধিক প্রকল্প চালু হবে।।এতে বানিজ্য ও রাজস্ব দুটোই বাড়াতে সহায়ক হবে।