রাজধানী বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৪৬ জনের মধ্য থেকে এ পর্যন্ত ৪৩ জনের লাশ তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
শনিবার দুপুর ১টায় ঢাকার অতিরিক্ত জেলা মেজিস্ট্রেট একেএম হেদায়েতুল ইসলাম জানান, বাকি তিনটি লাশের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে দুটি এবং শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে রয়েছে একজনের লাশ।
শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৪০ জনের লাশ হস্তান্তর করে কর্তৃপক্ষ। শনিবার সকালে স্বজনদের বুঝিয়ে দেওয়া হয় আরও তিনজনকে।
এখন ঢাকা মেডিকেলে যে দুজনের লাশ আছে, তাদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। অপরদিকে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে থাকা সাংবাদিক অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর পরিচয় জটিলতায় তার লাশও হস্তান্তর করেনি কর্তৃপক্ষ।
ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে ওই তিনজনের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন হেদায়েতুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে গ্রিন কোজি কটেজ নামের ভবনটিতে আগুন লাগার পর তা ভয়াবহ আকার ধারণ করে। নিচতলায় লাগা আগুন উঠে যায় ওপরের সাত তলা পর্যন্ত।
ভবনটির দোতলায় ছিল বিরিয়ানির পরিচিত খাবার দোকান ‘কাচ্চি ভাই’ এর শাখা, পোশাকের ব্র্যান্ড ইলিয়েন, নিচের তলায় স্যামসাং এর শোরুমসহ আরও বেশ কিছু দোকান। স্যামসাংয়ের শোরুমের পাশে রয়েছে একটি কফি শপ। এ রকম কফির দোকানসহ ফাস্টফুডের অনেকগুলো দোকান ও রেস্তোরাঁ রয়েছে ভবনটিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে।
আগুন লাগার পর প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নেভাতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিস। এরপরই আসতে থাকে একের পর এক মৃত্যুর খবর।
সবশেষ ঢাকা মেডিকেল ও বার্ন ইনস্টিটিউটে নেওয়া ৪৫ জন ও পুলিশ হাসপাতালের একজনসহ মোট ৪৬ জনের মৃত্যুর খবর দেওয়া হয়।