রাজধানীর বেইলি রোডে আগুনের ঘটনায় ২৫টি মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (১ মার্চ) ভোর থেকে স্বজনরা শনাক্ত করার পর তাদের পরিচয় নিশ্চিত করার হয়ে এই হস্তান্তর কাজ শুরু হয়।
ঢাকা জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে সহকারী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তফা আব্দুল্লাহ আল নুর (এনডিস) জানান, এখন পর্যন্ত নিহত ৪৪ জনের মধ্যে ৩৮ জনের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। এদের ভেতর এখন পর্যন্ত ২৫ জনের মরদেহ তাদের স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। স্বজনরা তাদের চেহারা, জামাকাপড় দেখে শনাক্ত করেন। পরে পরিচয় নিশ্চিত হয়ে মরদেহগুলো তাদের কাছে দেয়া হয়েছে। হস্তান্তরের এই সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়বে।
তিনি আরও জানান, শনাক্ত না হওয়া ছয়জনের মরদেহের ভেতর পাঁচজনেরই চেহারা বুঝা যাচ্ছে। তবে একটি মরদেহ পুড়ে একেবারে অঙ্গার হয়ে গেছে। সেই মরদেহটি ডিএনএ টেস্ট ছাড়া হস্তান্তর করা সম্ভব হবে না।
এর আগে, বৃহস্পতিবার রাতেই ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মরদেহ হস্তান্তরের জন্য নিহতদের স্বজনদের তথ্য চাওয়া হয়। এর মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিহতদের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে পুলিশ।
বেইলি রোডের আগুনে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৪ জনে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন ৪৩ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিতের পর রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে আরও একজন মারা গেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ব্রিফিংয়ে জানান, অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনায় দগ্ধ হয়ে ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট ও ঢামেকে ভর্তি আছেন আরও ২২ জন। তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেল থেকে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৫০ মিনিটে আগুন লাগার খবর পান তারা। প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ৯টা ৫৬ মিনিটে। পরে আগুনের ভয়াবহতা ছড়িয়ে পড়লে আরও ১২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে পুলিশ, আনসার, র্যাব ও এনএসআই। ১৩টি ইউনিটের ২ ঘণ্টার চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ভবনটিতে পিৎজা ইন, স্ট্রিট ওভেন, খানাসসহ আরও রেস্টুরেন্ট রয়েছে। এছাড়া ইলিয়েন, ক্লোজেস্ট ক্লাউডসহ জনপ্রিয় বিপণিবিতানও রয়েছে।