ক্রমবর্ধমান কাজের চাপ এবং ব্যক্তিগত জীবনে উত্থান-পতনের কারণে মানুষ ক্রমশ হতাশ ও দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিষণ্নতার সবচেয়ে বড় কারণ হল আমাদের পরিবর্তিত জীবনধারা। মূলত, যখন প্রতিটি ছোট-বড় বিষয়ে দুশ্চিন্তা করতে থাকি, তখন মানসিক চাপ কখন বিষণ্নতায় রূপ নেয় তা বোঝা যায় না। আর বর্তমান সময়ে এই সমস্যাতেই ভুগছেন আমাদের আশেপাশে একটা বড় সংখ্যার মানুষ ।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অহেতুক দুশ্চিন্তা অনেকটা চক্রের মতো। যত দূর করতে চাইবেন, তত আপনাকে জেঁকে ধরে বসবে। মূলত, করোনা মহামারির পর থেকেই এই সমস্যা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। অহেতুক দুশ্চিন্তা সবার আগে প্রভাব ফেলে আমাদের দৈনন্দিন কাজের ওপরে। এটি আমাদের কাজের উৎপাদনশীলতায়ও প্রভাব ফেলে। এছাড়াও অহেতুক দুশ্চিন্তার সবচেয়ে বড় প্রভাব ফেলে ঘুমে।
এমতাবস্থায় মানসিক প্রশান্তি পেতে হলে আপনার জীবনযাত্রায় সামান্য পরিবর্তন আনতে হবে। আপনার অদ্ভুত লাগবেও আধা ঘণ্টা হাঁটা আপনাকে বিষণ্নতা বা অহেতুক দুশ্চিন্তার থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করতে পারে। প্রকৃতপক্ষে, হাঁটা শুধুমাত্র মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করে না বরং দিনে মাত্র আধা ঘণ্টা হাঁটা শরীরের অন্যান্য অনেক সুবিধা প্রদান করে। যেমন রক্তচাপ, ডায়াবেটিস এবং আর্থ্রাইটিসসহ অনেক স্বাস্থ্য সমস্যা প্রতিরোধ ও উন্নতি করতে সহায়তা করে।
হাঁটলে মেজাজ ভালো হয়-
হাঁটা এন্ডোরফিন নামক হরমোন নিঃসরণ করে, যা আপনার মেজাজ উন্নত করে এবং মানসিক চাপ, উদ্বেগ ও বিষণ্নতা কমায়। মেজাজ ভালো থাকলে মানুষের মন কাজে নিবদ্ধ থাকে এবং নেতিবাচক চিন্তা মাথায় আসে না। এছাড়াও হাঁটা শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং ওজনও কমায়।
চিকিৎসকদের মতে, নিয়মিত হাঁটা হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। পাশাপাশি পেশি ও হাড়কে শক্তিশালী করতেও সাহায্য করে।
হাঁটা শরীরে ইতিবাচক শক্তি আনে-
হাঁটা শুধু মানসিক চাপই কমায় না আপনার মধ্যে ইতিবাচক শক্তির সঞ্চার করে নেতিবাচকতা থেকে দূরে রাখে। এছাড়াও আপনি সবসময় সক্রিয় বোধ করেন। হাঁটা ঘুমের উন্নতি ঘটায়। মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পায় আপনি সবসময় সক্রিয় থাকেন। ক্লান্তি কমে যায় এবং ওজন ও খারাপ কোলেস্টেরলও কমে।